সবচেয়ে খারাপ একটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির অভ্যন্তরে সামরিক স্থাপনায় শতাধিক ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা হতে পারে।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবারের মধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের একটি বড় হামলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্য নিহত হন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলিদের পক্ষে এমন আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। যদি ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইরান, তাহলে আশঙ্কা করা হচ্ছে- এটি ইরানের মিত্র হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ আরও বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতে গড়াতে পারে।
যে কোনো সময় হামলার আশঙ্কায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলে আমেরিকানদের প্রধান শহরগুলোর বাইরে ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে।
যদিও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি বিমান ঘাঁটিতে সেনা পরিদর্শনের সময় বলেন, ‘যে আমাদের ক্ষতি করবে, আমরা তাদের ক্ষতি করবো। আমরা প্রস্তুত… রক্ষণাত্মক ও আক্রমণাত্মক উভয় দিক থেকেই।’
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান যদি ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর পথ বেছে নেয়, তাহলে দেশটিতে ২০১৯ সালে সৌদি তেল স্থাপনায় ইরানি বাহিনীর হামলার মতো জটিল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।