জয় বাংলাদেশ : ‘সিনেমায় জেমস বন্ডকে লোটাস এসপ্রিটটিকে গাড়ি থেকে সাবমেরিনে রূপান্তরিত করতে দেখা শিশু হিসেবে অত্যাশ্চর্য ঠেকেছিল।’ ১৯৮৯ সাল। লং আইল্যান্ডের এক দম্পতি বড় এক দাঁও মারলেন। একটি স্টোরেজ ইউনিটে পড়ে থাকা পুরোনো একখানা গাড়ি তারা মাত্র ১০০ ডলারে কিনে নিলেন।
গাড়িটা ছিল ১৯৭৬ সালের মডেলের লোটাস এসপ্রিট। জেমস বন্ডের চলচ্চিত্র দ্য স্পাই হু লাভড মি-এ দেখা গিয়েছিল এ গাড়ি। ওই দম্পতির অবশ্য এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ধারণাও ছিল না। কেনার পর ভেবেছিলেন, গাড়ির ছাদ মেরামত করবেন আর ছোটখাটো কিছু ত্রুটি সারাবেন। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ট্রাকচালকদের কাছ থেকে জানতে পারলেন, ওটা একটা জেমস বন্ড গাড়ি। এর আগে তারা কখনো ডাবল ও সেভেনের কোনো সিনেমা দেখননি বলে জানা যায়। কিছু টুকটাক পরিবর্তনের পর ২০১৩ সালে ওই দম্পতি তাদের বিখ্যাত ওই গাড়িটি নিলামে তোলেন। সেই নিলাম থেকেই গাড়িটি কিনে নিয়েছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। নয় লাখ ৯৭ হাজার তথা প্রায় এক মিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন তিনি লোটাস এসপ্রিটটির জন্য।
বন্ডের সিনেমা দেখে বড় হওয়া মাস্কের ভাষ্যে, ‘সিনেমায় জেমস বন্ডকে লোটাস এসপ্রিটটিকে গাড়ি থেকে সাবমেরিনে রূপান্তরিত করতে দেখা শিশু হিসেবে অত্যাশ্চর্য ঠেকেছিল।’
অটো ব্লগ জালোপনিককে দেওয়া এক বিবৃতিতে মাস্ক বলেছিলন, ‘আমি জেনে হতাশ হয়েছিলাম যে, এটা রূপান্তরিত হতে পারে না। আমি যা করতে যাচ্ছি তা হলো এটিকে টেসলার ইলেকট্রিক পাওয়ারট্রেন দিয়ে আপগ্রেড করা এবং বাস্তবে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করা।’
মজার বিষয় হলো, ‘ওয়েট নেলি’ ডাকনামের ওই গাড়িটি বন্ডের সিনেমায় ব্যবহার করার জন্য কার্যকরী সাবমেরিনে রূপান্তর করা হয়েছিল। এর জন্য তখন এক লাখ ডলারের বেশি খরচ করা হয়।
তবে গাড়িটি স্থলে চালানোর ব্যবস্থা ছিল না। কেবল প্রোপেলার এবং ব্যালাস্ট ট্যাঙ্কের মাধ্যমে এটি পানির নিচে চলতে পারত। চাকার পরিবর্তে এটিতে ‘পাখা’র ব্যবস্থা ছিল।
মাস্ক জানান, এ গাড়িটিই তার ২০১৯ সালে উন্মোচিত টেসলা সাইবারট্রাকের ভবিষ্যৎ নকশাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।
এক্স-এ এক পোস্টে মাস্ক লেখেন, সাইবারট্রাকের তীক্ষ্ণ, কৌণিক নকশা ‘কিছুটা প্রভাবিত’ হয়েছিল আইকনিক এ বন্ড গাড়িটির দ্বারা। পোস্টে দ্য স্পাই হু লাভড মি-এর একটি ভিডিও ক্লিপও সংযুক্ত করেছিলেন তিনি।