ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুসতেম উমেরভ জার্মান সংবাদসংস্থাগুলোকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন এখনো চলছে। ফলে সেনা বাহিনীকে বড় করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যারা সেনা বাহিনীতে কাজ করছেন, তারা ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন উদ্যম প্রয়োজন।
২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি যে ইউক্রেনীয়রা বিদেশে বসবাস করছেন, তাদের কাছে দেশে ফেরার আহ্বান জানানে হচ্ছে। প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের লড়াইয়ে পাঠানো হতে পারে। সব মিলিয়ে সেনা বাহিনীতে পাঁচ লাখ নতুন মুখ চাই বলে জানানো হয়েছে। যারা বিদেশ থেকে আসবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
জার্মানির সাহায্য
শীত যত পড়ছে, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে তত বেশি আক্রমণ করছে রাশিয়া। বিদ্যুৎ না পেলে মানুষ ঠান্ডায় মরে যাবেন। এই পরিস্থিতিতে জার্মানি জানিয়েছে, ইউক্রেনের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য তারা অর্থ সাহায্য করবে। শীতে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অটুট থাকে, তার ব্যবস্থা করার কথা বলেছে জার্মানি। গত শীতেও ইউক্রেনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা সফল হয়নি। এবারও তারা সফল হতে পারবে না বলে মনে করছে ইউক্রেনের।
কিয়েভে ড্রোন হামলা
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার একটি ড্রোন সরাসরি কিয়েভের একটি ভবনের মাথায় গিয়ে পড়ে। ভবনটির একাংশে আগুন লেগে যায়। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনের সেনা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাজধানীতে বেশ কয়েকটি রাশিয়ার ড্রোন তারা ধ্বংস করেছে কিয়েভের আকাশে। তবে আরও একটি ড্রোনের খণ্ডাংশ থেকে অরেকটি বাড়িতে আগুন লেগেছে।
হাঙ্গেরির বক্তব্য
এদিকে ইইউ-র বৈঠকে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত বাজেট থেকে ইউক্রেনের জন্য খরচ করা যাবে না। ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ দেশগুলোকে আলাদা করে ব্যয় করতে হবে।