জয় বাংলাদেশ: হামলা চালানোর আগের দিনই তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে ইরানকে তথ্য জানিয়েছিল ইসরায়েল। শনিবার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সাইট অ্যাক্সিওসের বরাতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস এ খবর জানিয়েছে।
সূত্রের বরাতে সংবাদে বলা হয়েছে, শনিবার ভোরে আক্রমণের আগে শুক্রবারই ইরানকে হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছিল ইসরায়েল। চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা থামানো এবং বিস্তৃত উত্তেজনা বাড়ানো রোধের একটি প্রচেষ্টা ছিল এই ইসরায়েলি বার্তা।
সূত্রের বরাতে অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা ইরানিদের আগে থেকেই পরিষ্কার করে দিয়েছিল যে তারা সাধারণভাবে কী আক্রমণ করতে যাচ্ছে, কেমন আক্রমণ হতে পারে।
অন্য দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েল ইরানিদের এই হামলার প্রতিক্রিয়া না জানাতেও বলেছিল। তারা জোর দিয়েছিল যে, ইরান যদি প্রতিশোধ নেয় তবে ইসরায়েল আরও একটি হামলা চালাবে। বিশেষ করে যদি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত বা আহত হয়।
এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছিল, কয়েক মাস ধরে অব্যাহত হামলার জবাবে তারা ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে তাদের কিছু স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল কেবল ‘সীমিত ক্ষতি’ করতে সক্ষম হয়েছে। দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মূল আঘাত প্রতিহত করেছে।
হিজবুল্লাহ, হামাস ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের প্রধান নেতাদের হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেহরান দাবি করেছে, ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান ১৮০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং তাদের বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে।