গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘২০১১-২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৪ জন ছিল। ২০২২-২০২৩ সালে সেই সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৬৩ জনে পৌঁছেছে। বাংলাদেশি স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার জন স্নাতক শিক্ষার্থী বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক শিক্ষার্থীদের সপ্তম বৃহত্তম উৎস করে তুলেছে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকার এডুকেশনইউএসএ টিম ২০২৪ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনা শুরু করতে যাওয়া বাংলাদেশের ১২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ইএমকে সেন্টারে প্রি-ডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও) সেশনের আয়োজন করে।
সেশনে মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসকে সমৃদ্ধ করেছে এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করেছে। গত বছর বাংলাদেশ থেকে ১৩ হাজার ৫৬৩ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে গেছে, যা এ যাবতকালের রেকর্ড। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানোর তালিকায় ১৩তম দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। আগের বছরের তুলনায় শিক্ষার্থী পড়তে যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ২৮ শতাংশ, যা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ।’
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার সেকশন, এডুকেশনইউএসএ, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক ভর্তি কর্মকর্তা, বর্তমান এবং সাম্প্রতিককালে পড়াশোনা শেষ করেছেন এমন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সময় শিক্ষার্থীরা যে ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক, সাংস্কৃতিক এবং জীবনযাত্রার পার্থক্যের মুখোমুখি হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেন বক্তারা। স্টিফেন ইবেলি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক, পেশাদার এবং ব্যক্তিগত বিকাশের এই যাত্রা শুরুর সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা সুবিধা নিতে উৎসাহ জানান। নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়া এবং বন্ধু ও সহকর্মীদের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উপর জোর দেন তিনি।
মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশে এডুকেশনইউএসএ-এর পরামর্শমূলক পরিষেবা এবং রেফারেন্স উপকরণ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকান সেন্টার, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, গুলশানের এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড আর্টস এবং চট্টগ্রামে আমেরিকান কর্নার, যেখানে প্রশিক্ষিত উপদেষ্টারা গ্রুপ ইনফরমেশন সেশনের নেতৃত্ব দেন এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যক্তিগত পরামর্শমূলক পরিষেবা দেন। এডুকেশন-ইউএসএ রেফারেন্স লাইব্রেরি এবং দূরবর্তী পরামর্শ পরিষেবা খুলনা, সিলেট এবং রাজশাহীর আমেরিকান কর্নারেও পাওয়া যাবে।