সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিগত কয়েক বছরে মানুষের জীবনের বড় একটা অংশ দখল করে রেখেছে ইনস্টাগ্রাম। ফটো, ভিডিও শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি রিলস উপভোগ করার জন্য প্রচুর মানুষ এটিতে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এটাই যে, এই বিদায়ী ২০২৩ সালে ইনস্টাগ্রাম-ই ‘মোস্ট ডিলিটেড’ মানে সবচেয়ে বেশি মুছে ফেলা অ্যাপে পরিণত হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন!
চলতি বছরে ফোন থেকে যে সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন ডিলিট করেছেন ইউজাররা, তাদের মধ্যে মেটা-র এই অ্যাপটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এর পরের নাম দুটি শুনলেও অবাক হবেন, কারণ ব্যাপক জনপ্রিয়তায় থাকা স্ন্যাপচ্যাট ও টেলিগ্রাম অ্যাপও মানুষজন ডিলিট করেছেন। অর্থাত্ বহুল ব্যবহূত অ্যাপসমূহকেই এবার ঝেড়ে ফেলছেন ইউজাররা, কিন্তু কেন?
বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা, তাও ডিলিট হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। অ্যাপ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারের সংখ্যা ৪.৮ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে, মানুষজন প্রতিদিন ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট নেটমাধ্যমে ব্যয় করছেন। তবে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা রেকর্ড ব্রেক করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও মেটার ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস প্ল্যাটফর্ম দুটি ইউজারদের মন থেকে জায়গা হারিয়েছে। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইউজার হারিয়েছে নতুন মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডস। অ্যাপটি চালু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী যোগদান করে রেকর্ড গড়লেও, পরবর্তী ৫ দিনের মধ্যে ৮০ শতাংশ ইউজার প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে দিয়েছেন। এর ফলে কোম্পানি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
আর, যেমনটা শুরুতেই বলেছি ইনস্টাগ্রাম হলো এই বছরের সবচেয়ে বেশি ডিলিট হওয়া অ্যাপ। ২০২৩ সালে ১০ লাখ মানুষ ইন্টারনেটে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার কৌশল অনুসন্ধান করেছেন বলে জানা গিয়েছে, এছাড়াও ১০,২০,০০০ সংখ্যকেরও বেশি ব্যবহারকারী অ্যাপটি ডিলিট করে ফেলেছেন। মূলত থ্রেডস, ইনস্টাগ্রামের সাথে লিঙ্ক থাকায় এটি থেকে রেহাই পেতে গিয়ে ইউজাররা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডিলিট হয়েছে এই অ্যাপগুলোও। বছরে সবচেয়ে বেশি ডিলিট হওয়া অ্যাপগুলোর মধ্যে স্ন্যাপচ্যাট দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ১,২৮,৫০০ জন এটি ডিলিট করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পরে আছে এক্স অর্থাত্ টুইটার এবং টেলিগ্রামের নাম। শুধু তাই নয় রোজনামচার সঙ্গী ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপগুলোকেও হাজার হাজার মানুষ বিদায় জানিয়েছেন। যেমন ৪৯,০০০ মানুষ ফেসবুক অ্যাপ আর ৪,৯৫০ জন ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট করেছেন বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই পদক্ষেপের কারণ তেমন স্পষ্ট নয়!