জয় বাংলাদেশ: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি বলে দাবি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বিগত দেড় দশক খুন-গুম, মামলা-হামলা, দমন-পীড়ন ও লুটপাটের মাধ্যমে নাগরিকদের ন্যূনতম মানবাধিকার কিংবা ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত চার হাজারের বেশি মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ৭ শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হন। ৬০ লাখের বেশি মানুষ গায়েবি মামলার আসামি হয়েছিলেন। কথা বলার স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকার হরণের মাধ্যমে বিরোধী মত দমনের ইতিহাস রচিত হয়েছিল। সেই দুঃসময়ে আমাদের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার করতে ব্যর্থ হয়।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বিগত সময়ে যেসব বিচারক ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে মানুষের অধিকার হরণে ভূমিকা পালন করেছেন, তারা এখনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এ বিষয় চলমান থাকলে জাতির কাছে ভুল মেসেজ যাবে। আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির অফিসকে এ বিষয়ে যথাযথ সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ বিচারকদের প্রয়োজনীয় সমস্যা দূর করতেও আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
এ সময় আরও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সারা দেশের অধস্তন আদালতের প্রায় ২ হাজার বিচারক, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিটির প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানসহ আরও অনেকে।