নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত না হওয়ার আগে আচরণবিধি প্রয়োগের বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, রিটার্নিং অফিসার যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ দেবেন। তারপর আচরণবিধি প্রয়োগের সময় আসবে। এর আগে কোনো রাজনৈতিক দল লাঙ্গল, নৌকা বা পাখি নিয়ে প্রচারণা করেন তাতে কোনো রকম বাধা নেই। গতকাল রোববার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ২০০৮ সালের আচরণবিধি হচ্ছে প্রার্থীর ক্ষেত্রে। মনোনীত প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী এরা কেউ প্রার্থী নন। প্রার্থী হচ্ছেন যিনি চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দাখিল করার পরে যোগ্য প্রার্থী হওয়ার পর প্রতীক বরাদ্দ পাবেন। সেদিন থেকে নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগটা তাদের দেওয়া হবে।
চূড়ান্তভাবে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন নিয়ন্ত্রণ করবে উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, যখন রিটার্নিং অফিসার তাদের যোগ্য হিসেবে তালিকা প্রকাশ করবেন। তখন আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করব। দেখব তারা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে কি না? করলে আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।
প্রধানমন্ত্রীর মিটিং প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মিটিং করলে তাতে অসুবিধা কোথায়? কারণ আচরণ বিধি প্রয়োগের সময় তো এখনো আসেনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শোডাউন করে নমিনেশন নেওয়া হচ্ছে— আমাদের কোনো আইনেই বলা নেই দলীয় ফরম কেনার সময় তারা শোডাউন করতে পারবে না, গাড়ি-ঘোড়া নিয়ে যেতে পারবেন না, দলবদ্ধভাবে যেতে পারবেন না।
প্রশাসনে রদবদল প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রশাসনে রদবদল কে কখন করেছিল? আমাদের বলবেন? ১৯৯৬, ২০০১ এ প্রশাসনে রদবদল নির্বাচন কমিশন করেনি। সরকার করেছিল। প্রয়োজন মনে করলে আমরা আমাদের স্বার্থে সেটা দেখব। নির্বাচনের স্বার্থে যেটাকে ভালো মনে করব এবং যেটা আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে আছে সেভাবে আমরা করব। এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে, এক্তিয়ার অতিক্রম করে আমরা কোনো কিছু করতে যাব না।
সেনা মোতায়েন প্রশ্নে সিইস বলেন, নির্বাচনের সময় সমসময় দেখেছি সেনাবাহিনী থাকে। সেনাবাহিনী নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। নিজেদের মধ্যে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। নমিনেশন সাবমিশন শেষ হওয়ার পর কমিশনে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
পুনঃ তপসিল প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে, সেক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় রিশিডিউল করা যেতে পারে। সেখানে নির্বাচন পেছানোর কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে বারবার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা সবসময় সংলাপ ও সমঝোতার কথা বলেছি। উৎসবমুখর পরিবেশের কথা বলেছি। সবার প্রতি যদি সমঝোতা হয়। তাহলে আমাদের জন্য বিষয়টি আরও অনুকূল হয়ে ওঠে। সেদিক থেকে আমরা এখনো কোনো অবস্থানের পরিবর্তন করিনি। আমরা এখনো আশা করি, হয়তো-বা তারা আসতেও পারে।
নির্বাচনপূর্ব সময় কোনটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনপূর্ব সময় যেদিন আমরা তপসিল ঘোষণা করি সেদিন থেকে ফলাফল ঘোষিত (গেজেট) হাওয়া পর্যন্ত সময়।