আগামী ২০ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে আওয়ামী লীগ। এদিন সিলেটে জনসভার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দলটির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে বিএনপি। তাদের মুখে মানবাধিকারের বুলি আর শোভা পায় না। এদেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। জিয়াউর রহমানের পর খলেদা জিয়া গুম-খুনের রাজনীতি করেছে। জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। অথচ এ নিয়ে তাদের লজ্জা নেই।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের বিষয়ে আজ সোচ্চার। তাদের কথা শুনলে মনে হয়, বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট তারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনে যে ১৩টি দেশের নাম যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ নেই।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১৭ ডিসেম্বর।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।