সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারাল বাংলাদেশ। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩ উইকেট। প্রথম সেশনেই নাঈম আর তাইজুল এই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কার হাতে উঠে তাইজুলের হাতে।
গতকাল বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩২ রানের টার্গেটে সেই লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরতেই চাপে পড়ে কিউইরা। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা।
নিউজিল্যান্ডের লড়াইয়ের শেষ আশা হয়ে ছিল ৪৪ রানে অপরাজিত ড্যারিল মিচেল। সকালে মিচেল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯ম ফিফটি তুলে নেয়। ১২০ বলে ৫৮ রান করে নাঈম হাসানের বলে সুইপ করতে গিয়ে তাইজুলের হাতে ধরা পরেন এই ব্যাটার। এরপর মাঠে এসে পাল্টা আক্রমন করে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি। তাইজুলের বলে আউট হওয়ার আগে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করেন সাউদি।
শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন অনেকক্ষণ ধরে প্রতিরোধ গড়ে রাখা ইশ সোধি। তিনি ৯১ বলে ২২ রান করে তাইজুলের শিকার হন। ১৮১ রানে শেষ হয় নিউজিল্যান্ড এর দ্বিতীয় ইনিংস।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ নিয়ে ৭ম টেস্ট খেলল বাংলাদেশ। ৩ হার ও ৩ ড্রয়ের পর ঘরের মাঠে কিউইদের বিপক্ষে এই প্রথম টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। আর তাতে দারুণ অবদান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। নিউজিল্যান্ডের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১০ উইকেট নিলেন তিনি। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন তাইজুল। ২০১৮ সালে টেস্টে প্রথমবারের মতো তাইজুল ১০ উইকেট নিয়েছিলেন এই সিলেটেই! নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে নিলেন ৬ উইকেট।
সিলেট টেস্ট জয়ে ব্যাটসম্যানদের কথাও বলতে হবে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে হাল ধরেছিলেন তিন ব্যাটসম্যান—অধিনায়ক নাজমুল হোসেন (১০৫), মুশফিকুর রহিম (৬৭) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (৫০*)।