‘বিএনপি সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এ পর্যন্ত দুই শতাধিক গাড়ি পুড়িয়েছে, ভাঙচুর করেছে। তাদের গণবিরোধী রাজনীতিকে সমর্থন না দিলে তারা জনগণকে শত্রু ভাবে। এখন তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে রাজনীতির মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি করতে চাইলে, সৎ সাহস থাকলে—মাঠে আসুন। আমার একটা রাজনৈতিক দল। আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ, কিন্তু কখনও শত্রু ভাবিনি। ষড়যন্ত্র করিনি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে যাইনি, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে যাইনি, আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা বিশ্বাস করি না। সৎ সাহস থাকলে কেন আসেন না? লন্ডনে বসে বাংলাদেশে আন্দোলন করবেন, এ ভুলের রাজনীতির কারণে আপনারা কিছুদিন পর দলের নেতাকর্মীদের হারাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। আজকে বিএনপির একজন নেতা প্রকাশ্যে না এসে হঠাৎ হঠাৎ বক্তব্য দেয়। চোরাগোপ্তা হামলার জন্য কর্মী পাচ্ছে না। ভাড়া করা টোকাই দিয়ে হামলা-অপকর্ম করাচ্ছে।’
বিএনপির অনেকে এই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেকের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে তারা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্থ করতে চায় না। তারা নির্বাচনে আসতে চায়। ইতোমধ্যে যারা এসেছেন, তারা বিএনপির রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে এসেছে। তাদেরকে অভিনন্দন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকে।