চুলের যত্ন নিয়ে কথা বললে প্রথমেই ব্যয়বহুল প্রসাধনীর কথা মাথায় আসে। শ্যাম্পু, সিরাম বাদেও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে চুলের যত্ন নেওয়া যায়। আপনি প্রসাধনী ঠিকই ব্যবহার করবেন। কিন্তু চুল ভালো রাখতে হলে আপনাকে ডায়েটে কিছু বদল আনতেই হবে।
হাইড্রেটেড থাকতে হবে
শীতে পানি পানের চাহিদা কম থাকে। আবহাওয়া কারণে মানসিকভাবে এমনটা হয়। তবে এই অভ্যাস ভুল। কোষ ও টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহকে উন্নত করার জন্য শরীরে প্রয়োজনীয় পানির ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও হাইড্রেটেড থাকা প্রয়োজন।
শীতের মৌসুমি খাবার এড়াবেন না
একবার গুগল করে দেখুন। শীতের মৌসুমি খাবারের রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্যগুণ। মৌসুমি খাবারগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের পুষ্টি জোগায়। ভারতের বিখ্যাত নারায়ন হেলথ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের একটি ব্লগ অনুসারে আপনার চুলকে সুস্থ রাখার অন্যতম সেরা ও সহজ উপায় হল মৌসুমি ফল এবং শাকসবজিতে ভরপুর একটি সঠিক ডায়েট অনুসরণ করা। এই খাবারগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ এবং চুলের সকল সমস্যা দূর করে ঝলমলে ও উজ্জ্বল করে তোলে।
ভাজা খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন
স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি ভাজা ও উচ্চ-ক্যালরিযুক্ত খাবারের ব্যবহার সীমিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আরামদায়ক শীতের ঋতু প্রায়ই আমাদের মুচমুচে, তেলে ভাজা খাবার খেতে প্রলুব্ধ করে। আমরা প্রায়ই ভাজা, চর্বিযুক্ত ও চিনিতে ভরপুর খাবারগুলো বেছে নিই যা এই ঋতুতে জনপ্রিয়। ভাজাপোড়া দেহে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়াতে পারে, ত্বক ও চুলের কোষে রক্ত ও অক্সিজেনের নিয়মিত সঞ্চালনকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই শীতে মুচমুচে তেলে ভাজা খাবার ও অতিরিক্ত মিষ্টি পিঠেপুলি হিসাব করে খেতে হবে।