বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে ভোটের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশন তা ভেবে দেখবে। সেই সঙ্গে আইন দেখে ভোটের পথ সৃষ্টি করা হবে। নির্বাচনে আসতে চাইলে দলটি স্পেস পাবে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এ কথা জানান।
বড় একটি দলসহ আরও অনেক দল ভোটের বাইরে আছে, তারা যদি ভোটে ফিরতে চায় এই তফসিলে কি ফেরা সম্ভব বা বিএনপির জন্য কোনো বিবেচনা থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, যদি ফিরতে চায় (বিএনপি), আমার জানামতে আগেও (২০১৮ সালের নির্বাচনে) উনারা একটু পরেই এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন। উনারা যদি ফিরতে চান- কীভাবে কী করা যাবে নিশ্চয় আমরা আলোচনা করবো, সিদ্ধান্ত নেবো। উনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম করবো।
তবে অগ্রিম কিছু বলতে পারবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, বিস্তারিত এখন কিছুই বলবো না। উনারা (বিএনপি) যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসবো। আইন-কানুন দেখবো, তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়।
তার মানে ইসি বিবেচনা করবে- এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, আসলে তো বিবেচনা করবোই। অবশ্যই করবো। আমরা তো চাই সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।
ইসির এই বিবেচনার মধ্যে কী পন্থা আছে- জানতে চাইলে রাশেদা বলেন, কী পন্থা আছে এই মুহূর্তে আমি বিস্তারিত বলতে পারবো না। আপনারা দেখেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার জানামতে উনারা এসেছিলেন। ওই নির্বাচনে কিন্তু উনাদের জন্য একটু স্পেস তৈরি করা হয়েছিল। আমরা যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করবো।