Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeধর্মফজরের নামাজ পড়লে ১০ পুরস্কার পাওয়া যায়

ফজরের নামাজ পড়লে ১০ পুরস্কার পাওয়া যায়

ফজরের বিশেষ গুরুত্ব যেমন নামাজের মধ্যে আছে, তেমনি সময়ের মধ্যেও। কোরআনে সুরা ফজরের শুরুতে আল্লাহ তাআলা বলেন, শপথ ফজরের। (সুরা ফজর, আয়াত: ১)

ফজরের নামাজ পড়ার কয়েকটি উপকারের কথা জানা যাক,

১. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত নফল নামাজ আদায় করল। আর যে ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৩৭৭)

২. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার সবকিছুর চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৫৭৩)

৩. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ফজরের নামাজ আদায় করল, সে মহান আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হলো।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৩৭৯)

৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘সেই মানুষটি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্যোদয়ের আগের এবং সূর্যাস্তের আগের অর্থাৎ ফজর ও আসরের নামাজ আদায় করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৩২২)

৫. রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার চেয়ে বেশি ভারী কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৫৭)

৬. খলিফা হজরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বরাতে একটি হাদিস জানা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) নাজদের দিকে এক অভিযানে একটি সেনাদল পাঠান। তারা প্রচুর গণিমতের সম্পদ অর্জন করে তাড়াতাড়ি ফিরে আসে। তাদের সঙ্গে যায়নি এমন একজন বলেন,‘অল্প সময়ের মধ্যে এত পরিমাণে ভালো গণিমত নিয়ে এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি আর কোনো সেনাদলকে আমরা ফিরে আসতে দেখিনি।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি দলের কথা বলব না, যারা এদের চেয়ে তাড়াতাড়ি উত্তম গণিমত নিয়ে ফিরে আসে? যারা ফজরের নামাজে জামাতে হাজির হয়, (নামাজ শেষে) সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহ তাআলার জিকির করতে থাকে, তারাই অল্প সময়ের মধ্যে উত্তম গণিমতসহ প্রত্যাবর্তনকারী।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৬৪১)

৭. সাহাবি আনাস (রা.) বলেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে মসজিদগুলোয় যাতায়াতকারী ব্যক্তিদের কিয়ামতের দিনের পরিপূর্ণ নুরের সুসংবাদ দাও।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৮১)

৮. ফজরের সময় ফেরেশতাদের পালাবদল হয়। আর এ সময় বান্দা যা কিছু করে ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে তা পেশ করেন। এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বিষয়টি চমৎকারভাবে তুলে ধরে বলেন, ‘ফেরেশতারা পালাবদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; একদল দিনে, একদল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হয়। তারপর তোমাদের মাঝে রাতযাপনকারী দলটি উঠে যায়। তখন তাদের প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞাসা করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে? অথচ তিনি তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। জবাবে তাঁরা বলেন, ‘আমরা তাদের নামাজে রেখে এসেছি আর আমরা যখন তাদের কাছে গিয়েছিলাম তখনো তারা নামাজরত ছিলেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৫৫)

৯. জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘একবার আমরা নবী করিম (সা.)-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ওই চাঁদকে তোমরা যেমন দেখছ, ঠিক তেমনি অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা দেখতে পাবে।’

১০. রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার ঘাড়ের পেছনে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এ বলে চাপড়ায়, তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব, তুমি শুয়ে থাকো। তারপর সে যদি জেগে আল্লাহকে স্মরণ করে তাহলে একটি গিঁট খুলে যায়, অজু করলে আরেকটি গিঁট খুলে যায়, তারপর নামাজ পড়লে আরেকটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার প্রভাত হয় উত্ফুল্ল মনে ও অনাবিল চিত্তে। না হলে সে সকালে ওঠে কলুষ কালিমা ও আলস্য নিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ১১৪২)

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments