শীতে হাজার ফুলের সুগন্ধে মেতে থাকে যশোরের গদখালী ফুল গার্ডেন। ফুলের সমাহার দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ফুলের রাজধানী থেকে। খুলনা বিভাগের অধীনে দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী একটি জেলা যশোর। যশোর জেলা থেকে বেনাপোলের দিকে যেতে ১৮ কিলোমিটার দূরে গদখালী বাজার।
এখান থেকে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ ফুলের চাহিদা মেটে। যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার প্রায় ৯০টি গ্রামের ৪ হাজার বিঘা জমিতে ফুলের চাষ করা হয়। রাস্তার দুইপাশে দেখা মিলবে হাজার ফুলের সমাহার। ফুলের সুগন্ধে মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আর সঙ্গে প্রজাপতি আর মৌমাছির গুঞ্জন। এখানে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় রজনীগন্ধা, গোলাপ, গাঁদা ও গ্লাডিওলাস। উৎপন্ন এই ফুলগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয় গদখালী বাজারে। তারপর তা চলে যায় পুরো বাংলাদেশে। এখানে যাওয়ার উপযুক্ত সময় শীতের সময় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। ভোরেই জমে ওঠে বাংলাদেশের বৃহত্তম ফুলের বাজার।
মাঠ থেকে ফুল কেটে বড় গাড়ীতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চালান হয়ে যায় ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে। এখানে প্রতি বছর প্রায় ৫ থেকে ৭ কোটি স্টিক ফুল উৎপাদন হয়। এই ফুল চাষের ক্ষেত থেকে প্রতি বছর প্রায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ফুল উৎপন্ন হয়। প্রতিদিনই গদখালী ও আশপাশের এলাকায় ফুলের রাজ্য দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন অসংখ্য নারী-পুরুষ।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বাসে যশোর সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যশোর যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী এবং কলাবাগান থেকে সোহাগ, হানিফ, এমপি গোল্ডেন লাইন, এম. আর এন্টারপ্রাইজ, দেশ ট্র্যাভেলস, একে ট্রাভেলস, গ্রিন লাইন, শ্যামলী ও ঈগল পরিবহণের এসি/নন-এসি বাস চলাচল করে। বাস থেকে নামার পর স্ট্যান্ড থেকে, বাসে করে আপনরা গদখালি বাজারে যাবেন। সেখান থেকে গদখালী ফুলের রাজ্যে যাবার জন্য ভ্যান ভাড়া করে নিতে পারবেন। ১ ঘণ্টার জন্য ভ্যান ভাড়া পড়বে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।