ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে কংগ্রেসের শুনানির সময় জানানো প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিন গে। ইহুদিদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র আহ্বান হার্ভার্ডের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কিনা জানতে চাওয়া হলে সরাসরি উত্তর দেননি ক্লাউডিন। তিনি বলেছিলেন বিষয়টি কোন প্রেক্ষাপটে তার ওপর নির্ভর করে।
ক্লাউডিন হার্ভার্ড ক্রিমসনে প্রকাশিত একটি সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘আমি দুঃখিত। যখন কথাগুলো কষ্ট ও বেদনাকে বাড়িয়ে তোলে, আমি জানি না অনুশোচনা ছাড়া আর কিছু অনুভব করা যায় কিনা।’
ক্লাউডিন আরও বলেছেন, তার সেই মুহুর্তে সত্য বলা উচিত ছিল যে ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার আহ্বানের কোনো স্থান হার্ভার্ডে নেই। দুঃখজনকভাবে, আমি আমার মনের কথা কী তা জানাতে ব্যর্থ হয়েছি।
মঙ্গলবার ইউপেনের প্রেসিডেন্ট লিজ ম্যাগিল ও এমআইটির স্যালি কর্নব্লুথের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার কংগ্রেসনাল শুনানির সময় তাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হন ক্লাউডিন গে। রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক ক্লাউডিনকে ইহুদিদের গণহত্যার আহ্বানের বিষয়ে হার্ভার্ডের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, প্রসঙ্গটি গুন্ডামি ও হয়রানির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে কিনা। জবাবে ক্লাউডিন বলেন, এটি আসলে নির্ভর করে।’
কিন্তু স্টেফানিক হ্যাঁ বা না উত্তর দিতে ক্লাউডিনকে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন, উত্পীড়ন, হয়রানি বা ভয় দেখানোর মতো আচরণের মধ্যে ইহুদি-বিরোধী বক্তব্য অতিক্রম করাকে পদক্ষেপযোগ্য আচরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং হার্ভার্ড এই ধরনের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
পরে স্টেফানিক বলেন, তার মানে উত্তর হলো হ্যাঁ, ইহুদিদের গণহত্যার আহ্বান হার্ভার্ডের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, সঠিক?’ তখন ক্লাউডিন বলেন, ‘আবারও, এটি প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করে।’
তখন স্টেফানিক বলেন, এটি প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করে না। এ কারণে ক্লউডিনের পদত্যাগ করা উচিত। এ ধরনের উত্তর বোর্ডে অগ্রহণযোগ্য।