গোটা গাজা ভূখণ্ড জুড়েই আক্রমণ করছে ইসরায়েল। খান ইউনিসের ২০টি এলাকা থেকে মানুষকে সরে যেতে বলেছে তারা। ইসরায়েলের সেনা দক্ষিণ গাজার বাসিন্দাদের বলেছে; তারা যেন প্রতিদিন অনলাইনে দেখে নেন, কোথায় আক্রমণ করা হবে। সেইমতো তারা যেন নিরাপদ জায়গায় চলে যান। প্রতিদিন ইসরায়েলের সেনারা অনলাইনে এই তথ্য জানিয়ে দিচ্ছে।
জেরুসালেমে ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি রেবেকা রিটার্স জানিয়েছেন, ‘গাজার মানুষদের এমন একটা ম্যাপ দেয়া হচ্ছে, যেটা বিভিন্ন বর্গক্ষেত্রে ভাগ করা আছে। প্রতিটি বর্গক্ষেত্রকে নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিদিন ইসরায়েলের সেনা জানিয়ে দেবে কোন নম্বরের জায়গাগুলিকে তারা টার্গেট করেছে। সেখান থেকে মানুষকে সরে যেতে হবে।’
রেবেকা জানিয়েছেন, ‘সমস্যাটা হলো, মানুষের সত্যিই কোথাও যাওয়ার নেই। তারা লুকোনোর জায়গাও বিশেষ পাচ্ছেন না।’ ইন্টারনেটেরও সমস্যা আছে। ফলে নির্দিষ্ট দিনে নিরাপদ জায়গা কোনটা তা জানতেও মানুষের অসুবিধা হচ্ছে।
ইসরায়েলকে অ্যামেরিকা বলেছে, সাধারণ বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করতে হবে। তারা এখন পুরো গাজা ভূখণ্ডে অপারেশন চালাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে রক্ষার বিষয়টি জরুরি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার জানিয়েছেন, এখনই কিছু বলার সময় আসেনি, তবে ইসরায়েলের কৌশলে কিছুটা বদল তারা দেখতে পাচ্ছেন। তারা একেবারে নির্দিষ্ট করে বলছে, কোন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যেতে হবে।
মিলার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনা নির্দিষ্ট কিছু জায়গা চিহ্নিত করছে, তারপর মানুষকে সেই জায়গা থেকে সরে যেতে বলছে। তারপর তারা আক্রমণ করছে। এটা আগে হয়নি।
বন্দি মুক্তি নিয়ে হামাসকেই দায়ী করলো অ্যামেরিকা। মর্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান জানিয়েছেন, ‘হামাস মোট ৮০ জন ইসরায়েলের নারী ও বাচ্চাকে ছেড়েছে। বিনিময়ে ইসরায়েলও তার তিনগুণ ফিলিস্তিনিকে ছেড়েছে। এছাড়া হামাস আলাদা করে ২৩জন থাইল্যান্ডের নাগরিককেও ছেড়েছে।’
তবে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘অ্যামেরিকা সব বন্দিকে মুক্তি দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হামাস কিছু নারীকে ছাড়তে চায়নি। তারপরই আলোচনা ভেস্তে যায়।’
এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, ওই নারীরা মুক্তি পেয়ে তাদের উপর অত্যাচারের কথা জানাক, সেটা হামাস চায়নি।’