দক্ষিণ গাজার প্রধান শহর খান ইউনিসের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছেছে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক। ১০ ডিসেম্বর (রোববার) যাত্রা পথে তুমুল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল।
সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতের তীব্র লড়াইয়ের পর খান ইউনিসের মধ্য দিয়ে ট্যাঙ্কগুলো উত্তর-দক্ষিণের প্রধান সড়কে পৌঁছেছিল। পাশাপাশি পূর্ব দিকে ইসরায়েলি অগ্রযাত্রা আরও ধীর হয়েছে এবং পশ্চিম দিকের এলাকায় ভারী গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে এই অঞ্চল। সাদা ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে শহরের আকাশ। অঞ্চলটিতে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার বেসামরিক আশ্রয় নিয়েছিল।
রোববার সকাল হতে না হতেই সিটি-সেন্টার থানার কাছে ক্রমাগত মেশিনগান থেকে গুলি ছোঁড়ার শব্দ শোনা গেছে। গাধার গাড়িতে চড়া একটি বৃদ্ধ নারী ও একটি মেয়ে ছাড়া পুরো রাস্তা ছিল নির্জন।
গাজা শহর থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া ও খান ইউনিসে আশ্রয় নেওয়া চার সন্তানের একজন বাবা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাতগুলোর মধ্যে একটি কাটিয়েছি। প্রতিরোধ খুব শক্তিশালী ছিল, আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে গুলির শব্দ ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছি। খান ইউনিসের ট্যাঙ্কগুলো শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত জামাল আবদেল-নাসের স্ট্রিটে পৌঁছেছে। স্নাইপাররা ওই এলাকার ভবনে অবস্থান নিয়েছে।
সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি বন্ধ হয়োর পরপরই খান ইউনিসে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। হামাস যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য দুই মাস ধরে চলমান অভিযান দক্ষিণ গাজার অর্ধেকের বেশি এলাকায় প্রসারিত করেছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, এর ফলে ছিটমহলের ২৩ লাখ মানুষের আশ্রয় নেওয়ার কোনো জায়গাই রইল না।
সূত্র: রয়টার্স