ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। দুইটি আসনের প্রার্থী পদও ঘোষণা করা হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নাম ঘোষণা করেন।
তবে এবার আওয়ামী লীগের এমপিদের মধ্যে ৬০ জনেরও বেশি বাদ পড়েন। নতুন মুখ এসেছেন প্রায় ১০০ জন।
নারায়ণগঞ্জ-৫ ও কুষ্টিয়া-২ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। পরে ঘোষণা করা হবে বলে ওবায়দুল কাদের জানান। কুষ্টিয়া-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি ২০০৯ সাল থেকেই এ আসনে জাসদের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়ে আসছেন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমান। জাতীয় পার্টির এমপি নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি শামীম ওসমানের ভাই।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী -৫ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তারকাদের মধ্যে নতুন মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-১০ আসনে চিত্র নায়ক ফেরদৌস এবং মাগুরা-১ আসন থেকে অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। আর নড়াইল-২ আসনের বর্তমান এমপি ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মোর্তুজা আবারও ওই আসনেই মনোনয়ন পেয়েছেন।
বর্তমানে যারা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আছেন তাদের মধ্যে মধ্যে তিনজন প্রতিমন্ত্রীও মনোনয়ন পাননি। বাদ পড়া প্রতিমন্ত্রীরা হলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
আরও হেভিওয়েট যারা বাদ পড়েছেন তাদের মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাইফুজ্জামান শিখর, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম, সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, পঙ্কজ নাথ, মুরাদ হাসানসহ আরও অনেকে।
আগামী ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। তার আগেই আওয়ামী লীগসহ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব দল মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে।
তবে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের এই মনোনয়নও রদবদল হতে পারে। কারণ জোট গঠনের প্রক্রিয়া এখনো চলছে। আওয়ামী লীগের ১৪ দলের জোট আছে। এছাড়া আরও ছোট ছোট কয়েকটি দল নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আছে কিছু ইসলামি দল। তাই যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্যে কিছু প্রার্থী বাদও পড়তে পারেন।
আবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট না হলেও আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা হতে পারে। সেক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগের কিছু প্রার্থী বাদ পড়তে পারেন। এমনকি নির্বাচন কমিশন প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পরও অন্য দলের সঙ্গে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী সমঝোতা হতে পারে।