ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে তারা হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সংশ্লিষ্ট রয়টার্সকে জানিয়েছে, মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া শুক্রবার গভীর রাতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে দেখা করেছেন।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে শুরু থেকেই কাজ করছে কাতার। এর আগেও দোহার মধ্যস্থায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতিতে গিয়েছিল ইসরায়েল।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গাজার যুদ্ধ অস্তিত্বশীল ও জয় না পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হবে। গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় আংশিক জিম্মিমুক্তি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল হামাস-ইসরায়েল। তখন উভয়পক্ষই হামলা বন্ধ রেখেছিল। নেতানিয়াহু হামাসের ওপর তীব্র সামরিক চাপ বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে ধ্বংস করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন অভিযানে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হমাস। জিম্মি করে আরও ২৪০ জনকে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণে প্রায় ১৯ হাজার লোক নিহত হয়েছে, বাস্তুহারা হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, গাজার ধ্বংসের কারণে ২৩ লাখ লোকের অধিকাংশই বাস্তুচ্যুত। অনেকেই তাঁবুতে ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার বা বিশুদ্ধ পানি নেই। এখানে চলছে চরম মানবিক সংকট।