Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকচীনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে বাইডেনকে বিরোধীদের চাপ

চীনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে বাইডেনকে বিরোধীদের চাপ

চীনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চিঠি লিখেছেন মার্কো রুবিওর নেতৃত্বে একদল রিপাবলিকান সিনেটর। চীনে সম্প্রতি শ্বাস-প্রশ্বাস সংশ্লিষ্ট ফ্লু জাতীয় অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ার কারণে আগাম সতর্কতা স্বরুপ দেশটিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার জন্য চাপ দিচ্ছেন বিরোধী রিপাবলিকান দলের সিনেটররা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা ও নিউমোনিয়ার সাম্প্রতিক বৃদ্ধি সম্পর্কিত তথ্য বেশি করে সরবরাহ করার জন্য চীনকে অনুরোধ করেছে।

সিনেটর রুবিও, জেডি ভ্যান্স, রিক স্কট, টমি টিউবারভিল ও মাইক ব্রাউনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জনাব রাষ্ট্রপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) জুড়ে ছড়িয়ে পড়া একটি অজানা শ্বাসকষ্টের অসুস্থতার আলোকে আমরা আপনাকে অবিলম্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পিআরসি-র মধ্যে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনি জানেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) জনস্বাস্থ্য সংকট সম্পর্কে মিথ্যা বলার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সিসিপি-এর সত্যের অস্পষ্টতা ও স্বচ্ছতার অভাব, এই রোগ এবং এর উৎস সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাবশ্যক জ্ঞান কেড়ে নিয়েছে।’

কোভিড মহামারি জুড়ে ডাব্লুএইচও বারবার মহামারির সময় চীনা কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও সহযোগিতার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

রিপাবলিকানদের পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সিসিপির রেকর্ডের ভিত্তিতে ডব্লিউএইচও-এর পদক্ষেপ নেওয়ার আশায় আমাদের অপেক্ষা করা উচিত নয়। আমেরিকানদের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি রক্ষার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মানে যতক্ষণ না আমরা এই নতুন অসুস্থতার ঝুঁকি সম্পর্কে আরও জানতে পারি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করা উচিত। ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে আমাদের দেশের জনগণ মৃত্যু, লকডাউন এবং পরবর্তীতে আরও প্রাদুর্ভাবের হাত থেকে রক্ষা পাবে।’

সিনেটররা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম দিনগুলোতে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে উল্লেখ করেছিলেন। এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৩১ জানুয়ারি, ২০২০-এ বাস্তবায়িত হয়েছিল। এর জন্য অনেকে ট্রাম্পকে ‘জেনোফোবিয়া’ (অন্যদেশের লোকদের প্রতি ঘৃণা) ও ‘বৈষম্য’-এর জন্য অভিযুক্ত করে সমালোচনাও করেছিলেন।

সিনেটররা পরিশেষে যুক্তিতে বলেছেন, তখনকার সময়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments