ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ আছে কি নেই বিষয়টি পরিষ্কার করতে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থাকে চাপ দিবে তুরস্ক। শনিবার জার্মানি থেকে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের একথা বলেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। খবর আরটির।
এরদোয়ান আরও বলেন, ১৯৬৮ সালের ‘পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ’ চুক্তিতে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ অংশ নিলেও স্বাক্ষর করেনি ইসরায়েল। সময় থাকতে ইসরায়েল গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে কিনা সেটা জানতে হবে। এই অঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য দেশের কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখতে এটা জানা প্রয়োজন। অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্রকেও এবিষয়ে নজর দিতে আহ্বান জানান তিনি।
এরদোয়ান জানান তুরস্কের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে অনুরোধ করা হবে ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রাগার আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।
ইসরায়েলের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞ ও রাষ্ট্রনেতারা। অনেকেই মনে করেন, ইসরায়েলের পারমাণবিক অস্ত্রাগার আছে।
চলতি মাসে ইসরায়েলের ঐতিহ্যমন্ত্রী আমিহাই এলিয়াহু গাজায় পরমাণু বোমা হামলার হুমকি দিলে দেশটির পারমাণু কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনিয়ে আসে। আমিহাইয়ের এমন মন্তব্যের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বরখাস্ত করেন। তবে ইসরায়েলের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কি নেই এটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি নেতানিয়াহু।
এদিকে গাজার ওপর চলমান ইসরায়েলি হামলায় দেশটিকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়েছেন এরদোয়ান। তার মন্তব্যের জবাবে হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আখ্যা দিয়ে এরদোয়ানকে অভিযুক্ত করেছেন নেতানিয়াহু।