ইউক্রেনসহ বাল্টিক দেশগুলো কেন রাশিয়াকে প্রত্যাখ্যান করছে এ বিষয়টি জানাতেই রাশিয়া-ইউক্রেনের একসঙ্গে বৈঠকে বসা দরকার। সম্প্রতি ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশ অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই) মন্ত্রীপর্যায়ের একটি বৈঠক বর্জনের পর এমনটা বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল।
দেশ তিনটির সরকার জানিয়েছিল, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে আমন্ত্রণ জানানোয় তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না। ওএসসিই-এর মন্ত্রী পর্যায়ের বার্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার। উত্তর মেসিডোনার রাজধানী স্কোপিয়েতে আয়োজিত এই বৈঠকে সম্মতি জানিয়েছিলেন সের্গেই ল্যাভরভ।
এরপরই ইউক্রেনসহ এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডসহ বাল্টিক দেশগুলো বৈঠক বর্জন করে। আন্তর্জাতিক বৈঠকে ইইউ এর ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো মোটেই ভালো চোখে দেখেনি ইউক্রেন সমর্থক দেশগুলো।
এ প্রসঙ্গে জোসেফ বোরেল বলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশ রাশিয়াকে কিভাবে প্রত্যাখ্যান করছে সেটি ল্যাভরভের সামনে আনা প্রয়োজন। এই বৈঠকে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে মুখোমুখি আলোচনা হওয়ার সুযোগ আছে। তাই মেসোডোনিয়া সরকারের রাশিয়াকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বোরেল।
ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক আরও বলেন, এই বৈঠকের পর ল্যাভরভ নিশ্চিত হবেন ইইউ এবং ওএসসিই ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ার আগ্রাসী আচরণ পুরোপুরি অসমর্থন করে। দেশে ফিরে রুশ সরকারকে সেটি জানাতে পারবেন ল্যাভরভ।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক বৈঠকে দুই দেশকে একসঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইউক্রেন প্রতিনিধিরা মনে করছে, এই আমন্ত্রণের জানানোর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে বৈধতা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
সূত্র: এএফপি