আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে নয়, তৃণমূল বিএনপি আলাদাভাবেই নির্বাচন করবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিজের জন্মস্থান ও নির্বাচনী এলাকায় নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ এবং কুশল বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, তৃণমূল বিএনপি এই সিদ্ধান্তেই অটল থাকবে। সিদ্ধান্তের বাইরে যাবে না। সারা দেশে কমপক্ষে ২০০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে তার দল বিপুল সংখ্যক আসনে জয় লাভ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএনপির হরতাল অবরোধ প্রসঙ্গে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ২০১৪ ও ২৯১৮ সালে আমার নেতৃত্বেই হরতাল অবরোধ করেছি। আমি নিজে গাড়িতে আগুন না দিয়েও মামলা খেয়েছি। আগুন সন্ত্রাস করেও বিএনপি ইতিপূর্বে যেহেতু দুইবার নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, জাতিসংঘের স্বীকৃতিও তারা আটকাতে পারেনি। তাই সরকারকে বিনা চ্যালেঞ্জে না ছাড়তেই তৃণমূল বিএনপি গঠন করে এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল অবরোধ না করে দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত ছিল বলেও মনে করেন তৈমুর আলম খন্দকার।
বিএনপির সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির আদর্শিক কোনো গরমিল নেই, পদ্ধতিগত গরমিল আছে মন্তব্য করে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সারাজীবন বিএনপির রাজনীতি করেছি। আমি বিএনপি দলকে ছাড়িনি। দল আমাকে বহিস্কার করেছে। এরপরও আমি দেড়বছর চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করেছি। অবশেষে দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজনে তৃণমূল বিএনপি গঠন করেছি।
জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুরোধ জানিয়ে তৈমুর বলেন, ভোট সুষ্ঠু না হলে দেশে বিরাট বিপ্লব সৃষ্টি হবে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে দেশে অবস্থার পরিবর্তন হবে। তবে আওয়ামী লীগ যেহেতু বড় দল। তাই এ দলের সঙ্গে তৃণমূল বিএনপি টেক্কা দিতে চায় না, তবে ছাড়ও দেবে না। যেখানে সুযোগ পাবে অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে, এমন মতামতও ব্যক্ত করেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।
জনগণ নির্বাচিত করে সংসদে যাওয়ার সুযোগ করে দিলে স্থানীয় সরকারের অধীনে দলীয় ব্যানারের নির্বাচন আইন বাতিল করবেন বলেও জানান তৈমুর।
মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-১ আসন রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া বাজারে অবস্থান করেন তিনি। এ সময় বাজারে দোকানে দোকানে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজন ও শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় করেন তিনি। তবে তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী বা সমর্থকদের কেউই ছিলেন না।