ফাউল-ট্যাকেল কিংবা রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুটবলারদের মেজাজ হারানোর ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। এমনকি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তবে এবার মাঠে ঘটেছে অন্য এক ঘটনা। ফুটবলার নয়, মাঠে মারামারিতে জড়িয়েছেন এক ক্লাব সভাপতি। এতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে টার্কিশ ফুটবল লিগ। এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আঙ্কারাগুজুর বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে মাঠে নামে রিজেসপোর। ১-১ গোলে ড্র দিয়ে শেষ হয় দুই দলের ম্যাচ। তবে এরপরেই ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আঙ্কারাগুজু ক্লাবের প্রধান ফারুক কোজা আচমকাই রেফারি হালিল উমুত মেলেরের মুখে ঘুষি মারেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান রেফারি। একপর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৩৭ বছর বয়সী এই রেফারিকে। এরপরই তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে তুরস্কের শীর্ষ ফুটবল লিগটিকে।
রাষ্ট্রীয়ভাবে এর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) এক বিবৃতিতে বলে, ‘শুধু হালিল উমুত মেলেরের ওপরই নয়, এই অমানবিক ও ঘৃণিত আঘাত তুরস্কের ফুটবল–সংশ্লিষ্ট সবার ওপরই হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবেই অমানবিক এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ঘটনায় জড়িত ক্লাব, ক্লাবটির সভাপতি, কোচ ও আরও যারা হালিল উমুত মেলেরের ওপর হামলা করেছেন, তাদের সবাইকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।’
এমন ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় এরদোয়ান লিখেছেন ‘খেলাধুলা হলো শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। সহিংসতার সঙ্গে খেলাধুলা যায় না। তুরস্কের ক্রীড়াঙ্গনে আমরা সহিংসতা বরদাশত করতে পারি না।’