কমিশন সবার সহযোগিতায় এমন একটি নির্বাচন উপহার দেবে, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, (নির্বাচন সংশ্লিষ্ট) সবাই আশ্বস্ত করেছেন তারা শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সঠিক জিনিসটা নিশ্চিত করবেন। যাতে করে একজন ভোটার নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে, ভোটটা সঠিকভাবে দিতে পারে এবং বেরিয়ে এসে আপনাদের (গণমাধ্যম) ফেস করতে পারে। কেমন ছিল ভোট মা/বাবা/দাদা, তখন বলবে বাবা, এ রকম ভোট তো কখনো দেখি নাই! এত সুন্দর ভোট হয়েছে। আমার ভোট আমি দিয়েছি, সুন্দর পরিবেশ। অথবা অন্য কিছু বলবে, সেটাই প্রকাশ করবেন।
তিনি বলেন, দায়-দায়িত্ব রিটার্নিং অফিসারের। কারণ, আমাদের আইনে আছে রিটার্নিং অফিসারকে ডিসি সহায়তা করবেন। এখনো তো ‘টু ইন ওয়ান’। যে রিটার্নিং অফিসার, সেই কিন্তু ডিসি। তাকে সে শতভাগ (সহায়তা) দিচ্ছে। অ্যাসিসট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার উপজেলা, তার আন্ডারে আছে। তারাই কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার, অ্যাসিসট্যান্ট প্রিসাইডিং অফিসার পোলিং অফিসার নির্বাচন করছে। তারা নিশ্চিত হবে—তার কথা শুনবে, সঠিক কাজটা করবে।
গণমাধ্যমকে প্রতিটি কেন্দ্রে টিম রাখার আহ্বান জানিয়ে আহসান নির্বাচনী প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, গ্যাপটা কোথায়? অনিয়ম-অবিচার-অনাচার করার কোনো গ্যাপ নেই। এই কমিশন প্রথম দিন যেদিন দায়িত্ব নিয়েছে, শপথ নেওয়ার পর থেকে এভাবে কাজ করে এসেছে।
তিনি বলেন, ইভিএম যখন ছিল তখন আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল কিন্তু আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে অনেকেই বলে “জাদুর বাক্স”, এক্সকে ভোট দিলে ওয়াইয়ে চলে যায়—নেভার! যাই হোক, আমাদের সনাতন পদ্ধতি; ব্রিটিশ আমল থেকে ব্যালটে হচ্ছে এবং ব্যালটেও যে সঠিকভাবে সম্ভব, এটা আমরা ইনশাল্লাহ আপনাদের সবার সহযোগিতায় এবং আমাদের ডিসি-এসপি-কমিশনারস-ডিআইজিস; সবাই কিন্তু আমাকে আশ্বস্ত করেছে, সবার সহযোগিতায় এমন একটা নির্বাচন উপহার দেবো, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে এবং ভবিষ্যতে যারা নির্বাচন করতে আসবে তারা এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে, নতুন পথ অবলম্বন করে আরও ভালো করবে।
প্রার্থীদের ভোটার আনতে হবে মন্তব্য করে আহসান হাবিব বলেন, আমি তো পরিবেশ সৃষ্টি করব। পরিবেশ যদি ঠিক থাকে, মাঠ ঠিক থাকে, প্লেয়ার কে, রেফারি কে ওরাই তো নির্ধারণ করবে। লিগ্যালই যদি শতাংশ ভোট পড়ুক, লিগ্যালই তিনি এমপি কিন্তু পারসেপশনে মনে হয়, এত শতাংশ ভোট হলো। আমাদের আইনে কিন্তু ও রকম কিছু নেই। যেমন মালদ্বীপে আছে ৫০ শতাংশের উপরে হতে হয়, এখানে কিন্তু ও রকম কিছু নেই। আমরা আশা করি, ভোটার (উপস্থিতির) হার ভালো হবে।