সারাবিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি, বেড়েছে মৃত্যুর ঝুঁকিও।
বয়স হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। হার্টের সমস্যা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। নিয়ম মেনে না চললে হার্টের খেয়াল রাখা সত্যিই অসম্ভব।
শরীরের প্রতি অযত্ন, অনিয়ম হার্টের অসুখ ডেকে আনে। পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সামান্য বেশি হলেও কিছু নিয়ম যদি মেনে চলতে পারেন, তাহলে সত্যিই ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।
- সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ব্যায়াম করা জরুরি। ভারি ব্যায়াম না করতে পারলে রোজ অন্তত আধা ঘণ্টা দ্রুত হাঁটতে পারেন। কিছু হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন।
- রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রাতে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই দরকার।
- হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে সবার আগে ধূমপান একেবারে ছাড়তে হবে। ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্যতম বড় কারণ।
- স্থূলতার সমস্যা থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ওজন কমানোর জন্য সঠিক ডায়েট মেনে চলতে হবে। ডায়েটে বেশি করে শাকসবজি ও ফল রাখতে হবে। অল্প অল্প করে বার বার খেতে হবে। খাবারে চর্বির পরিমাণ কমিয়ে আঁশযুক্ত খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে।
- লিভারের যত্ন নিতে হবে। কারণ হার্ট ভাল রাখতে হলে লিভারের কার্যক্ষমতা ভাল রাখতে হবে। কারণ, হার্ট ভাল রাখতে যে উৎসেচকগুলি লিভার থেকে নিঃসৃত হয়, লিভারে মেদ জমলে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- নিয়ম মেনেও যে সবসময় হার্ট-অ্যাটাক আটকানো যায়, তা নয়। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়াটা জরুরি। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যাবে, সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও তত বাড়বে।