৭৫ বছরে পা দিয়েছে ন্যাটো। আর সে সময়েই ওয়াশিংটনে বসেছে ন্যাটোর সম্মেলন। প্রথম দিন উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বক্তৃতায় একটিই উল্লেখযোগ্য বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, রাশিয়াকে রুখতে ইউক্রেনকে আরও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়া হবে। অতীতে এই সিস্টেম ইউক্রেনকে রাশিয়ার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেছে।
বাইডেনের এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে একই সঙ্গে তার আবেদন, অ্যামেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে এই সিস্টেম দ্রুত দিতে হবে। রাশিয়াকে ঠেকাতে আরো সাহায্য প্রয়োজন ইউক্রেনের।
একইসঙ্গে জেলেনস্কি বলেছেন, আমেরিকায় নির্বাচনের আগেই যেন এই ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুধু আমেরিকা নয়, জার্মানি, রোমানিয়া, ইটালি, নেদারল্যান্ডসকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি এই প্রস্তাবে সহমত হওয়ার জন্য। জেলেনস্কি বলেছেন, এই ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে রাশিয়ার ক্রমাগত ড্রোন আক্রমণ প্রতিহত করা যাবে।
ওয়াশিংটনে এদিন জেলেনস্কি একটি বিষয়ে অন্তত সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেছেন, নভেম্বরে আমেরিকায় নির্বাচন। তার আগেই যেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপ নেয় পশ্চিমা দেশগুলি। নির্বাচন পর্যন্ত যেন অপেক্ষা করা না হয়। এদিন জেলেনস্কি বলেছেন, ২০২২ সালের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তিনি ট্রাম্পকে খুব ভালোভাবে চেনেন না। তিনি ক্ষমতায় এলে কী হবে, তা তার কাছে স্পষ্ট নয়।
বস্তুত, ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাটদের একটি অংশও তার সমালোচনায় মুখর। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কসভায় বাইডেন কার্যত ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। তারপরেই তার শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। বাইডেন এবং হোয়াইট হাউস অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে যে, শারীরিকভাবে প্রেসিডেন্ট সম্পূর্ণ সুস্থ। দীর্ঘ সফরের কারণেই বিতর্কসভায় ঘুমিয়ে পড়ছিলেন তিনি।
ট্রাম্পের শিবিরও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বাইডেন আদৌ প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন রিপাবলিকানরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন ন্যাটোর সম্মেলন শুরু হয়েছে। এবং সেখানেও চলে এসেছে মার্কিন নির্বাচনের প্রসঙ্গ।