ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উন্নত ও আধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি এড়াতে পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ একে ইসরায়েলকে ‘অন্ধ’ করার কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন প্রযুক্তির মোকাবিলায় প্রয়োজন পুরনো পদ্ধতি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। ইসরায়েলি আক্রমণে ৩৩০ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং ৯০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইসরায়েলে ২১ জন সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং রিমোট সেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করছে। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকে ব্যাহত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে।
হিজবুল্লাহ মোবাইল ফোনের পরিবর্তে পেজার ও কুরিয়ার ব্যবহার শুরু করছে। যা তাদের শনাক্ত করা কঠিন করে তুলেছে। এছাড়া তারা সাংকেতিক বার্তা এবং পুরনো টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরনো পদ্ধতিগুলো উচ্চপ্রযুক্তির নজরদারি এড়াতে কার্যকর হতে পারে। লেবাননের একজন বিশ্লেষক কাসেম কাসির বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতির বিরুদ্ধে পুরনো পদ্ধতিতে ফিরতে হবে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা হিজবুল্লাহর সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালাচ্ছে এবং গোষ্ঠীটির হামলায় বেসামরিক লোকজনের ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছে।
ইসরায়েলি হামলার হিজবুল্লাহর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি হয়েছে। যোদ্ধাদের মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ এবং নিরাপত্তা ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে তাদের ড্রোনের মাধ্যমে ইসরায়েলের পর্যবেক্ষণ বেলুনে আক্রমণ করা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, আক্রমণের ফলে কোনও ক্ষতি হয়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলার ফলে কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি। তবে হিজবুল্লাহর প্রযুক্তিগত সচেতনতা বেড়েছে এবং তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়েছে।