বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক বাহিনী। গত সপ্তাহে জাহাজটি ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। পুন্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী এ কথা জানিয়েছে।
ভারতীয় কমান্ডোরা সোমালি জলদস্যুদের হাতে থাকা আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করার দুই দিন পর এই ঘোষণা দিয়েছে পুন্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ। সোমালি জলদস্যুরা গত নভেম্বর থেকে ২০টির বেশি জাহাজে হামলা করেছে। এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাই ছিল সর্বশেষ ঘটনা।
শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করেছে। জাহাজটি ১৭ ডিসেম্বর ছিনতাই করা হয়। জাহাজে থাকা ১৭ জন নাবিককে উদ্ধারের পাশাপাশি ৩৫ জলদস্যুকে আটক করে তারা।
পুন্টল্যান্ডের আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী বলেছে, এখানে তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং আবদুল্লাহকে আটক করে রাখা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতেও তারা প্রস্তুত। অঞ্চলটি অনেক জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি।
পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী হামলার পরিকল্পনা করছে এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।’ ভারতের নৌবাহিনী আরও কয়েকটি ছিনতাইয়ের চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তবে তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
পুন্টল্যান্ড পুলিশ বলেছে, তারা আবদুল্লাহর বোর্ডে জলদস্যুদের মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি আটক করেছে। ২০১১ সালে সোমালি জলদস্যুরা বিশ্ব অর্থনীতিতে আনুমানিক ৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিল। এর মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার ছিল মুক্তিপণের।