জয় বাংলাদেশ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুটি দলের মধ্যে জোর প্রচারণা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই পরপর দুবার হামলার শিকার হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার হামলা হয়েছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামলা হ্যারিসের নির্বাচনী অফিস লক্ষ্য করেও।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফনিক্স এলাকায় অবস্থিত কমলা হ্যারিসের অফিস লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। সেখান থেকেই নির্বাচনী প্রচারের কাজ করছেন কামলা।
হামলার বিষয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, কামলা অফিসের দেয়ালে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ এটাও জানিয়েছে, মঙ্গলবার মাঝরাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই সময়ে অফিসে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এই হামলা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। হামলার পেছনে কারা রয়েছে, তা দ্রুত জানা যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।
পরপর দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর ওপরই এমন হামলার পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তা বেড়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। কয়েক মাস আগেই একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো হয়। সে সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ট্রাম্পের কানে আঘাত হেনেছিল গুলিটি। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ওই হামলাকারীর। ওই ঘটনার পর গত সপ্তাহে ফ্লোরিডার একটি গলফ কোর্সেও ট্রাম্পের ওপর হামলার পরিকল্পনাকারী একজনকে আটক করা হয়। ঘটনার সময় ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন সেখানে। গলফ কোর্সের মধ্যে একটি ঝোপ থেকে একে-৪৭ রাইফেলও উদ্ধার করে পুলিশ। ওই আটক ব্যক্তি রায়ান ওয়েসলি রাউথের কাছ থেকে বন্দুক ছাড়াও একটি গো-প্রো অ্যাকশন ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়।
মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের ওপর হামলার পরিকল্পনাকারী রাউথ শ্রমিকের কাজ করতেন। তবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। অংশ নিয়েছিলেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও। ট্রাম্পের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তিনি।