কারও আয় অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে না পারলেও নির্বাচনে পর ঠিকই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে টিআইবি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ তথ্য জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, সামগ্রিকভাবে দেশের আয় বেড়েছে। গত ১৫ বছরে বাজেট বেড়েছে ১২ গুণ, মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৫ গুণ। বাংলাদেশ এখন ৩৩তম অর্থনীতির দেশ। মানুষের আয় তো বাড়বে। প্রার্থীদের আয় বেড়েছে অনেকের, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি এভাবে প্রার্থীর সম্পর্কে বলতে চাই না। কিছু বলার থাকলে পরবর্তী সময়ে কোনও ফোরামে সুযোগ হলে অবশ্যই বলবো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, অস্বাভাবিকভাবে কারও আয় দৃষ্টিকটু মনে হলে সেটা তো এই মুহূর্তে সরকারের কিছু করণীয় নেই। এখন সরকার রুটিন ওয়ার্ক করছে। সময়মতো দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন।
বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসমর্থন না থাকায় বিএনপির আন্দোলনে মরচা ধরেছে। জনসমর্থন থাকলে সরকার উৎখাত করতে কোনও দলকে চোরাগোপ্তা হামলা করতে হতো না। সেইসঙ্গে বিভিন্ন আসনে নির্বাচনী সহিংসতাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এটি স্বাভাবিক। কোনও প্রার্থীই নির্বাচন বয়কট করবেন না। এবারের নির্বাচনে কনভেন্স করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে হবে।