খুলনায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীসহ প্রায় ২৫ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বোলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের জন্য বুধবার সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নগরীর সাত রাস্তার মোড়ে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বিভিন্ন অলিগলি থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুপুর ১টার পর সাত রাস্তার মোড় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দখলে চলে যায়। এ সময় নগরীর ময়লাপোতা থেকে বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের চারপাশ থেকে ঘিরে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষের প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সাত রাস্তার মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশ মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তখন কেডিএ এভিনিউসহ ঐ এলাকার সড়ক ও অলিগলিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় বাসের টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পাঁচ দফায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। দুই পক্ষের সংঘর্ষকালে দৈনিক কালবেলার খুলনা প্রতিনিধি বসির হোসেন, পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী হাসান ও শিক্ষার্থীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশত আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফাতেমা তুজ আয়শা, আরশা সিদ্দিকা ও এবটি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মাসুম বিল্লাহসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ আয়শা ও আরশা সিদ্দিকা বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ না করলেও আমাদের আটক করেছে। আমাদের ভাইদের হত্যার বিচার চাওয়া কী আমাদের অপরাধ?’
এ ব্যাপারে বিকাল পৌনে ৪টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, কত রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। আটকের ব্যাপারেও পরে জানাতে পারব।