ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া উপকূলীয় ২০ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের নতুন তারিখ ৯ জুন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে স্থগিত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়ায় ভোট হবে চতুর্থ ধাপের সঙ্গে ৫ জুন। একই দিনে কুমিল্লার চান্দিনায় ভোটগ্রহণ হবে। এসব উপজেলায় বুধবার ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। ওইসব বাদ দিয়ে এদিন তৃতীয় ধাপের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে উপকূলীয় ২০টি উপজেলার ভোট স্থগিত করে কমিশন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়। ওই দুই উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের কথা ছিল। আর আইনি জটিলতায় চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় ৫ জুনের কুমিল্লার চান্দিনার ভোট আটকে গিয়েছিল।
এসব নির্বাচনের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, স্থগিত উপজেলাগুলোর ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। উপকূলীয় এলাকাগুলোয় ভোট হবে ৯ জুন। আর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলায় ভোট হবে চতুর্থ ধাপের ভোটের দিন অর্থাৎ ৫ জুন। মামলার কারণে স্থগিত কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলারও ভোট হবে একই দিনে। সব মিলিয়ে চতুর্থ ধাপে ভোট হবে ৫৭ উপজেলায়।
৯ জুন যেসব উপজেলায় ভোট হবে, সেগুলো হচ্ছে—বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝারা; পটুয়াখালীর সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা; রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরী।