চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে ‘রেডলাইন’ অতিক্রম না করতে চীনকে সতর্ক করেছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। খবর বিবিসির।
গত শুক্রবার ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের রেডলাইন অতিক্রম করে চীন যদি ফিলিপাইনের কোনও নাগরিকের প্রাণহানি ঘটায়, ফিলিপাইন এটিকে যুদ্ধের পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করবে এবং চীনকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সামিটে বক্তব্য দেওয়ার সময় মার্কোস আরও বলেন, ‘চীনা নজরদারি জাহাজ ফিলিপাইনের নৌকা ও জাহাজের ওপর জলকামান দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ফিলিপাইন পাল্টা পদক্ষেপ নেবে।’
মার্কোসের এমন হুঁশিয়ারির জবাবে চীনের একজন সামরিক মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাক্রমে কোনও হতাহতের ঘটনায় কেউ যদি যুদ্ধের সূত্রপাত করতে চায়, তাহলে আমি মনে করি তারা যুদ্ধবাজ।’
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে।
ফিলিপাইনের সঙ্গে আমেরিকার নিরাপত্তা চুক্তি রয়েছে। ফলে ফিলিপাইন কোনও কারণে আক্রমণের শিকার হলে আমেরিকা তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। এরইমধ্যে ওয়াশিংটন বলেছে, এশিয়ার মিত্র রাষ্ট্রদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে আমেরিকা। এ কারণে সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা বাড়লে তা চীন ও আমেরিকার মধ্যে অচলবস্থা তৈরি করতে পারে।
এদিকে ফিলিপাইনও নিজেদের সামরিক ব্যয় বাড়াচ্ছে এবং ভারতের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে।
শুক্রবার সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা সামিটে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেন, ‘সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ফিলিপাইনের নাগরিক আহত হয়েছেন। তবে কেউ নিহত হননি। কেউ নিহত হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।’