জয় বাংলাদেশ : ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তের একটি জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৩৬ মাওবাদী নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একে সিরিজের বেশ কিছু অ্যাসল্ট রাইফেল ও অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করেছে বাহিনী। এনডিটিভি শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যমটি জানায়, বৃহস্পতিবার মাওবাদীবিরোধী অভিযান শুরু করেছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ)।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদের খোঁজ পেয়ে এনকাউন্টার শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গেছে, একটি বড় মাওবাদী দলের উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছিল। তার পরই আলাদা আলাদা দলকে যৌথ অভিযানে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দলগুলোকে ওর্চা ও বারসুর থানার অন্তর্গত গোভেল, নেন্দুর ও থুলথুলি গ্রামে পাঠানো হয়েছিল। তারা ওই গ্রামগুলোতে চিরুনি তল্লাশি চালায়। অবশেষে মাওবাদী দলের স্থান খুঁজে বের করে তারা।
এনডিটিভির সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে নেন্দুর-থুলথুলির কাছে জঙ্গলের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানেই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ৩৬ জন মাওবাদী।
অবশিষ্ট মাওবাদীদের খোঁজ করছে নিরাপত্তা বাহিনী। গভীর বনের মধ্যে তারা ঢুকে গিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। চরম সতর্কতা অবলম্বন করে তাদের পেছনে ধাওয়া করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর দল।
কর্তৃপক্ষের মতে, ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিদ্রোহের বিরুদ্ধে এই এনকাউন্টারটি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় একটি সাফল্য। প্রায় এক হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর দলকে এই মাওবাদীবিরোধী অভিযানে পাঠানো হয়েছে।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেন, ‘আমাদের সাহসী সৈন্যদের এই বড় সাফল্য প্রশংসনীয়। আমি তাদের সাহসিকতা ও অদম্য মনোভাবকে কুর্নিশ জানাই। নকশালবাদকে নির্মূল করার জন্য আমাদের লড়াই তখনই শেষ হবে, যখন আমরা সম্পূর্ণ সাফল্য অর্জন করব। এরই জন্য আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার। রাজ্য থেকে নকশালবাদ নির্মূল করাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বিষয়ে ৯ মাসে দুবার রাজ্য সফর করেছেন। তিনি ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদের অবসান ঘটাতে সংকল্প করেছেন।