জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার দীর্ঘ দুই মাস ১০ দিন পর প্রথমবারের মতো খুলেছে এই কার্যালয়।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই সরকারকে বর্জন করেছে। গতকাল জনগণ শুধু ভোট বর্জনই করেনি, তারা আওয়ামী লীগের বিদ্যমান কর্মকাণ্ডকে বর্জন করেছে। জনগণ যে ভোট বর্জন করেছে, এটাই তার প্রমাণ। বিএনপি জনগণের দল এবং জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দল। আমরা লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা অন্যায়ভাবে কারও গায়ে হাত দেই না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, বিভিন্ন আসনের ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি কেন্দ্রে একটিও ভোট পড়েনি। বাংলাদেশে যেখানে নির্বাচনের দিন ভোট প্রদান একটি রাজনৈতিক উৎসবে পরিণত হয়। সেখানে ১৯টি কেন্দ্রে একটি ভোট পড়েনি। এটা প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন প্রহসনের যে নাটক করেছে গতকাল-সেটি ছিল একটি প্রহসনের নির্বাচন। একটি ভুয়া নির্বাচন। শুধুমাত্র এই নির্দিষ্ট ১৯টি কেন্দ্রেই নয়, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি আসনেই এমন অনেক কেন্দ্রেই রয়েছে-যেখানে একটিও ভোট পড়েনি। কিংবা সারাদিন হয়তো ১০-২০টি ভোট পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে বিভিন্ন রকমের অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ নজিরবিহীনভাবে নিজেরাই নিজেদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে এবং নিজেদের মধ্যে কৃত্রিম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে পারিনি। সর্বোপরি আওয়ামী লীগের একচেটিয়া ভোট বর্জন করেছে জনগণ।