Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকট্রাম্প-জেলেনস্কি ফোনালাপে যোগ দিলেন ইলন মাস্ক

ট্রাম্প-জেলেনস্কি ফোনালাপে যোগ দিলেন ইলন মাস্ক

জয় বাংলাদেশ: নির্বাচনে জয়লাভের পর যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ফোনালাপে যোগ দিয়েছেন ইলন মাস্ক। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ইউক্রেনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এএফপিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্টের ওই কর্মকর্তা বলেন, বুধবারের ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন নিউজ সাইট অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে যে দাবি করা হয়েছে তা সঠিক।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক রিপাবলিকানদের প্রচারণায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাকে নির্বাচিত করতে সহায়তা করার জন্য তার ব্যক্তিগত সম্পদের ১১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছিলেন। ট্রাম্প বলেছেন, আসন্ন সরকারে মাস্ককে উপদেষ্টা জাতীয় কোনো ভূমিকায় রাখার ভাবনা তার আছে।

আনুষ্ঠানিক আহ্বানে তার উপস্থিতি পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তুলে ধরে।

আরেকটি উচ্চ পদস্থ ইউক্রেনীয় সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ফোনের সময় মাস্ক ট্রাম্পের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন। সূত্রটি জানিয়েছে, মাস্ক অন লাইনে ছিলেন না, তারা দুজনে সেখানে কোথাও একসঙ্গে ছিলেন, ট্রাম্প তাকে ফোনটি দিয়েছিলেন।

রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় ইউক্রেনীয় সেনাদের ব্যবহৃত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ডিভাইসের কথা উল্লেখ করে সূত্রটি বলেছে, জেলেনস্কি ‘স্টারলিংকে’র জন্য তাকে (মাস্ক) ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তারা সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলেছেন। তবে মূল কথোপকথনটি অবশ্যই ট্রাম্পের সঙ্গে ছিল, তিনি এবং জেলেনস্কি ‘সত্যই উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়ে আলোচনা করেননি, এটি কেবল একটি শুভেচ্ছা কথোপকথন ছিল’।

এদিকে এএফপির পক্ষ থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ট্রাম্পের টিম এই ফোনালাপে টেসলা বসের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিল, তারা ব্যক্তিগত কথোপকথন নিয়ে আলোচনা করবে না। দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস জানায়, কলটি প্রায় ২৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। আর সুনির্দিষ্ট কিছু না জানালেও মনে হয়- তিনি ট্রাম্পের কাছ থেকে যা শুনেছেন, তাতে জেলেনস্কি কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন। ফোনালাপের পর জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের অধীনে ‘দৃঢ় ও অবিচল মার্কিন নেতৃত্ব’ ‘ন্যায়সঙ্গত শান্তি’ এর জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’।

ট্রাম্প বারবার গর্ব করে বলেছেন, তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধেও অবসান ঘটাতে পারেন এবং তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিয়েভকে আমেরিকান সহায়তারও সমালোচনা করেছেন। ওয়াশিংটন ইউক্রেনের একটি প্রধান সামরিক সমর্থক এবং ইউক্রেনের অনেকেই উদ্বিগ্ন। কারণ ট্রাম্প একই স্তরের সমর্থন দেবেন না। তিনি রাশিয়ার সুবিধার্থে শান্তির বন্দোবস্তকে সমর্থন করতে পারেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে ‘সাহসী’ বলে প্রশংসা করে বলেন, গত জুলাইয়ে এক সমাবেশে হত্যাচেষ্টার পর ট্রাম্প যেভাবে নিজেকে সামলেছেন এবং বলেছেন যে তিনি তার সঙ্গে আলোচনা করতে ‘প্রস্তুত’ ছিলেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments