জয় বাংলাদেশ: ঢাকা বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের অভিজ্ঞতা তেমন সুখকর নয়। চেক-ইন করা লাগেজ খুঁজে পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়াই এর পেছনের মূল কারণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা যাত্রীরা বিষয়টির পরিবর্তন দেখতে পেয়েছেন। ফ্লাইট থেকে নামার পর দ্রুতই পেয়ে যাচ্ছেন লাগেজ।
সম্প্রতি কাতার এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে নিউইয়র্ক থেকে আসা যাত্রী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বিমানবন্দরে নাটকীয় পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আগে আমাদেরকে লাগেজ পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো এবং ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতেও অনেক সময় লেগে যেত। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। আমি বেল্টের কাছে এসেই আমার লাগেজটি পেয়ে যাই।’ গত দুই সপ্তাহে ঢাকা বিমানবন্দরের এই ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে মানুষকে ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে প্রশংসা করে পোস্ট দিতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে আসা আবুল কাশেম বলেন, ইমিগ্রেশন বিভাগ ও বিমানবন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে। তিনি জানান, ফ্লাইট অবতরণের ২০ মিনিটের মধ্যে তিনি তার লাগেজ পেয়ে যান।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে স্বচ্ছন্দে তাদের লাগেজ পান, সে বিষয়টি নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নতুন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তারা সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিতের চেষ্টা করছেন। মঞ্জুর কবীর ১৮ আগস্ট নিয়োগ পেয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সঙ্গে তারা সার্বক্ষণিকভাবে সমন্বয় করছেন। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিমান। বিমানবন্দরের সব কর্মী এখন দিনভর ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সেবার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
‘আলহামদুলিল্লাহ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ যাত্রী তাদের লাগেজ পেয়ে যাচ্ছেন এবং বাকিদের ক্ষেত্রেও আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া’, যোগ করেন তিনি। তিনি জানান, এ মুহূর্তে বোর্ডিং ব্রিজে উড়োজাহাজ অবতরণ ও ইঞ্জিন বন্ধের ১৮ মিনিটের মধ্যে প্রথম লাগেজ এবং ৬০ মিনিটের মধ্যে সর্বশেষ লাগেজটিও বেল্টে চলে আসে। ‘দ্রুততম সময়ে যাতে যাত্রীরা তাদের লাগেজ পেয়ে যান এবং ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পারেন, সেটা নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’