জয় বাংলাদেশ : রোববার রক্তক্ষয়ী বাংলাদেশ দেখেছে পুরো বিশ্ব। এদিন , আন্দোলনকারীরা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। বস্তুত, অসহযোগ আন্দোলনের এটি ছিল প্রথমদিন। আর সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে কার্যত আগুন জ্বললো। কোথাও জ্বললো থানা, কোথাও পিটিয়ে মারা হলো সাধারণ মানুষকে। সংঘর্ষ হয়েছে দিকে দিকে। এখনো পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে । এখনও আহত হয়ে বহু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি।
এদিন , বাংলাদেশের একাধিক থানায় আক্রমণ হয়েছে। থানায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়ে অন্তত ১৪ জন পুলিশকর্মীকে হত্য়া করা হয়েছে। পিটিয়ে খুন করা হয়েছে আওয়ামী লিগ এবং যুবলীগের অন্তত ১৮ জন কর্মীকে। এছাড়াও আক্রমণে সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। নিহত হয়েছে শিক্ষার্থীর।
সরকার কড়া হাতে এই আন্দোলন দমনের সতর্কতা জারি করেছে। দেশ জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য় কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, সোমবার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আরো কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তারা যেন ছেলেমেয়েদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এদিকে এদিনই ঢাকামুখী লংমার্চের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সরকার যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে তারা। একদফা দাবি নিয়ে দেশের সমস্ত আন্দোলনকারী ঢাকার দিকে মিছিল করবে বলে জানানো হয়েছে। ঢাকার মোট আটটি স্থানে জমায়েত হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার থেকে টানা তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। অর্থাৎ, অফিস-কাছারি সবকিছুই বন্ধ থাকবে। আওয়ামী লিগ সোমবার শোক মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিল। রোববার বিকেল থেকে কারফিউ ঘোষণার পর সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। সেনাবাহিনী সকলকে কারফিউ আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে।
রোববার আন্দোলনকারীরা দেশের মোট ১৯টি থানায় হামলা চালায়। পুলিশের ২৬টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। আক্রমণ চলে হাসপাতাল, সরকারি অফিস এবং মন্ত্রী-এমপিদের বাসাতেও। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় সবচেয়ে ভয়ংকর আক্রমণ চালানো হয়েছে। সেখানে ১৩জন পুলিশকর্মীকে হত্য়া করা হয়। গোটা দেশে আহতের সংখ্যা বহু। অভিযোগ, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।