নতজানু সরকারের কারণে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ব্যতীত প্রতিটি মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। মানুষের জান-মাল ও জীবন-জীবিকার কোন নিরাপত্তা নেই। নারী-শিশু নির্যাতন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি গণবর্জিত ডামি নির্বাচনের পর দেশ এক গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। চিহ্নিত কতিপয় পুলিশ, আমলা, আর সরকারি দলের টাকা পাচারকারী সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ মাফিয়া চক্র ছাড়া দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকারের বিপক্ষে।
চর দখলের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকের নলের মুখে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জনগণকে ক্রীতদাসে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে, বলেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, দলীয় নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িত। বলেন, নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। এছাড়া, দলটির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন বন্ধেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার সিদ্দিককে গতকাল রাত আনুমানিক ১০টা ২০ মিনিটের সময় চালতেঘাটা বাজার থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা সাদা রংগের নোহা মাইক্রোবাসে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় মেম্বার জাফর আলীসহ বাজারের দোকানদাররা বাঁধা দিলে তারা বলেন, আমরা ডিবির লোক। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক বর্তমান যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান ও যুবলীগ নেতা উজ্জ্বল উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জুলফিকার সিদ্দিককে তুলে নেয়ার ১০ মিনিট পর তার মোটরসাইকেলটি ছাত্রলীগ নেতা উজ্জ্বল নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জুলফিকার সিদ্দীকের মা শ্যামনগর থানায় গিয়ে খোঁজ করলে ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাকে ডিবি তুলে নিয়ে গেছে। এখনো তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমি অবিলম্বে জুলফিকার সিদ্দীককে জনসম্মুখে হাজির করে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।