জয় বাংলাদেশ : আসন্ন নির্বাচনে নিউ ইয়র্ক সিটিতে অভিবাসী সংকট বড় ভূমিকা রাখবে। এরই মধ্যে সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস আশংকা প্রকাশ করেছেন, আগামী তিন বছরে এই সংকট মোকাবিলায় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হতে পারে।
বর্তমান প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা পদক্ষেপ নিলেও ট্রাম্প বিজয়ী হলে এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের কী হবে সেই বিষয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
আইনের আওতায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ। তাই অভিবাসীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় স্থল এই শহর। সিটি কর্তৃপক্ষের তথ্যানুসারে, নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমানে অবস্থান করছেন প্রায় ৬৫ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী।
তবে এর বাইরেও সিটির বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন অভিবাসীরা। গত দুই বছরে ম্যানহ্যাটেন হোটেল রুযাভেল্টে প্রাথমিকভাবে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দুই শ হাজার অভিবাসী।
নিয়ম অনুযায়ী আশ্রয় প্রার্থী এসব অভিবাসীদের ছয় মাসের আগে আইনি ভাবে কাজের অনুমতি দেয়া হয় না। তাই বেঁচে থাকার তাগিদে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে সিটির রাস্তায় কাজ করছেন অভিবাসীরা। বেআইনিভাবে এসব কাজ করতে গিয়ে তারা সম্মুখীন হচ্ছেন জরিমানার।
তিন বছরের মধ্যে অভিবাসীদের পেছনে প্রশাসনের ব্যয় ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বোলে আশংকা, সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের। একাধিক জরিপ বলছে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের কাছে দেশের অর্থনীতির পর প্রাধান্য পাচ্ছে অভিবাসী ইস্যু।
তবে অভিবাসী ইস্যু নিয়ে বিভক্ত ভোটাররা। ক্ষমতায় গেলে অভিবাসীদের বিতাড়িত করা হবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যেকে ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকজন। তবে অনেকেই ট্রাম্পের এই আশ্বাসকে সাধুবাদ জানান।
অলাভজনক সংস্থা উইমেন ইন নিডের সিইও ক্রিস্টিন কুইন ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের অযৌক্তিক মন্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
অন্যদিকে সংস্থাটির চিফ প্রোগ্রাম অফিসার, ডিয়ানা স্যান্টস বলছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে এসব অভিবাসী পরিবারগুলো সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়বে।
অপরদিকে ভোটারদের আকর্ষণ করতে ডেমোক্র্যাটদের অভিবাসী ইস্যুতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। নিউইয়র্ক সিটিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অতিরিক্ত চাপ কমাতে ইতোমধ্যে ইস্ট হারেমের কাছে সিটির র্যান্ডেল’স আইল্যান্ডে বড় একটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে তিন হাজার অভিবাসীকে তিন বেলা খাবার সুবিধাসহ আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
তবে অতিরিক্ত এই চাপ কমাতে এটি যথেষ্ট নয়। এখনো অনেক অভিবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে সিটির রাস্তায় রাত কাটাতে দেখা যায়।