জয় বাংলাদেশ: আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস এবং বিভিন্ন রাজ্য কর্মকর্তাদের নির্বাচিত করার পাশাপাশি নিউইয়র্ক সিটির ভোটাররা নগরীর নতুন সনদ পরিবর্তনবিষয়ক বেশ কয়েকটি প্রস্তাবের ওপরও ভোট দেবেন।
আর এমন প্রেক্ষাপটেই মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিপক্ষের লোকজন নগরীর সবচেয়ে শক্তিশালী দলিল পরিবর্তন করতে সিটি হলের সমর্থিত প্রস্তাবগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে।
ওয়ার্কিং ফ্যামিলিজ পার্টির কো-ডিরেক্টর আনা মারিয়া আরচিলা সিটি হলের বাইরে এক সমাবেশে বলেন, ‘মেয়রকে বলুন, নিউইয়র্ক সিটিতে কোনো রাজার প্রয়োজন নেই আমাদের।’
তিনি বলেন, মেয়র যা করার চেষ্টা করছেন, তা হলো সিটি কাউন্সিল থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তা মেয়রের অফিসে দেওয়া।
নির্বাচনের দিন নিউইয়র্ক সিটি চার্টারের প্রস্তাবিত পাঁচটি সংশোধনী নগরীর ভোটাররা হয় অনুমোদন করবেন কিংবা প্রত্যাখ্যান করবেন। সংশোধনীগুলো আপাত দৃষ্টিতে নিরীহ মনে হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সংশোধনীগুলো অনুমোদিত হলে জননিরাপত্তা, গৃহহীনতা ও করদাতাদের অর্থ ব্যয়ের মতো বিষয়গুলোতে মেয়রের ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
এমনকি বার্ষিক সিটি বাজেট প্রস্তুত ও প্রকাশ করতে মেয়রকে আরো বেশি সময় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া এনওয়াইপিডি, এফডিএনওয়াই বা ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আগে কাউন্সিলকে ৩০ দিন আগে মেয়রকে নোটিশ দিতে বলা হয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ডেমোক্র্যাটিক স্পিকার অ্যাড্রিয়েন অ্যাডামস বলেন, ‘প্রস্তাবগুলো নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ওপর মেয়রের নিয়ন্ত্রণের সমমাত্রার।’
অন্যদিকে সিটি হল বলেছে, ভোটাররাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ব্যাপক সমীক্ষা চালিয়ে নিরপেক্ষ কমিশন এসব ব্যাপারে খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এখন এগুলো গ্রহণ করা হবে কিনা তা ভোটের মাধ্যমেই জানা যাবে।