জয় বাংলাদেশ : নিউইয়র্কে হেইট ক্রাইম ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় তা বেড়েছে রেকর্ড ৬৯ শতাংশ। অ্যান্টিসেমিটিজমের কারণেই মূলত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজ্য কম্পট্রোলার টম ডিন্যাপলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের তুলনায় রাজ্যজুড়ে ইহুদিদের বিরুদ্ধে হেইট ক্রাইম বেড়েছে ৬৯ ভাগ। ২০১৮ সালে ইহুদিদের বিরুদ্ধে ঘটনা যেখানে ঘটেছে ২৫৩টি, সেখানে ২০২৩ সালে ঘটেছে ৪৭৭টি। আর মুসলিমবিরোধী ঘটনা বেড়েছে ১০৬ ভাগ। ২০১৮ সালে যেখানে ঘটেছিল ১৮টি, সেখানে গত বছর ঘটেছে ৩৭টি।
গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রায় ৪৪ ভাগ হেইট ক্রাইম এবং ৮৮ ভাগ ধর্মভিত্তিক হেইট ক্রাইম রেকর্ড করা হয়েছে।
অ্যান্টিসেমিটিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে ব্রুকলিন মিউজিয়াম পরিচালক অ্যানে পাসটেরনাকের বাড়িতে গত ১২ জুন হামলা হয়েছে।
জিউশ কমিউনিটি রিলেশন্স কাউন্সিলের সিইও মার্ক ট্রেয়গার বলেন, কম্পট্রলারের অফিস থেকে সংগ্রহ করা তথ্যে নিউ ইয়র্কের ইহুদি বাসিন্দাদের দুর্ভাগ্যজনক অবস্থার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। সার্বিকভাবে গত বছর ১,০৮৯টি হেইট ক্রাইম রেকর্ড করা হয়েছে। ২০০০ সালে রেকর্ড করার কাজ শুরু হওয়ার পর এটিই সর্বোচ্চ ঘটনা।
নিউইয়র্ক সিটি তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩ সালের হেইট ক্রাইমের ৬৬৯টি ঘটনার মধ্যে প্রায় ৫৮ শতাংশ ছিল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এসব ক্ষেত্রে সম্পত্তির ওপর আঘাত হানা হয়নি।
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এসব হামলার মধ্যে ৭২টি ছিল গুরুতর পর্যায়ের। আর এর অর্ধেক হয়েছে ইহুদি ও সমকামীদের বিরুদ্ধে। নিউইয়র্ক সিটিতে ২০২৩ সালে ৫৩ শতাংশ হেইট ক্রাইম হয়েছিল ইহুদিদের বিরুদ্ধে। হেইট ক্রাইমের প্রায় ১৭ শতাংশ এবং বর্ণগত হেইট ক্রাইমের ৫২ ভাগ হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ অধিবাসীদের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট অপরাধের সংখ্যঅ ২০১৮ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে ৯১ থেকে ১৮৩ হয়েছে। করোনা মহমারির সময় এশিয়ানবিরোধী অপরাধ ব্যাপকভাবে বেড়েছিল। তবে গত দুই বছরে তা বেশ কমেছে বলে দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের সিনেট শিক্ষা কমিটির চেয়ারওম্যান শেলি মায়ার বলেন, ‘হেইট ক্রাইম দমনের জন্য আমাদের প্রয়োজন শক্তিশালী শিক্ষা উদ্যোগ।’