আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। এর বদলে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে জোটের নেতারা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘এক তরফা’ নির্বাচন বর্জনে গণসংযোগ ও মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান।
একই দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ আগামীকাল শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে মালিবাগ অভিমুখে গণমিছিল করারও ঘোষণা দিয়েছে।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘যে নির্বাচনের ফলাফল মানুষ জানে, সেই নির্বাচনের কী দরকার? জনগণের ২ হাজার কোটি টাকা অপচয়ের কোনো মানে হয় না। অনতিবিলম্বের এই তৎপরতা বন্ধ করুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও রাজনৈতিক সংকট সমাধানের সুযোগ আছে। বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করুন। এটা যদি না করেন, দেশব্যাপী মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে। একইসঙ্গে সরকারকে অপমানজনকভাবে বিদায় নিতে জনগণ বাধ্য করবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের গত এক-দেড় বছরে অনেক বক্তৃতা দিয়েছেন। মানুষ ভেবেছিল, জাতীয় পার্টি বোধ হয় এবার বদলে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে বদলায়নি।’
সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘নিজেরা নিজেরা ১৫২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছেন। এই ১৫২ জন প্রার্থীকে নাকি তারা আবার বিরোধী দলও বানাবেন। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চসহ ৬৩টি দল নির্বাচন বর্জন করেছি। এই প্রহসনের নির্বাচন এ দেশে হতে দেব না।’
সমাবেশ শেষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ মোড় যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে মিছিলটি শাহবাগ মোড় ঘুরে ফের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।