জয় বাংলাদেশ : আসছে মার্কিন নির্বাচনে এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রাথীরা। এগুলো হলো – অর্থনীতি গর্ভপাত ও অভিবাসন। ভোটারদের মাঝে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব বিষয়ে আলোচনা হলেও প্রতিদিন তারা মূল্যস্ফীতির যাতাকলে পিষ্ট হয়ে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজছেন হন্যে হয়ে। নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধিতে জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে ভীষণ কষ্ট করছেন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দারা।
তাই আগামী নির্বাচনে নিউ ইয়র্কের ভোটারদের কাছে প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে দেশের অর্থনীতি। নিত্যপণের অসহনীয় দাম মেটাতে গিয়ে জীবনযাত্রার মান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়ে স্টেইটের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
নিউইয়র্কে বসবাসরত নাগরিকরা বলছেন, শুধু প্রতিশ্রুতি নয় সংকট থেকে উত্তরণে প্রার্থীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চান তারা।
পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্টরা বলছেন, নীল শিবিরের ঘাঁটি বলে পরিচিত এই স্টেইটে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবার মুখেই এক কথা জীবন চালানো দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ ভোটারের কাছে এবারের নির্বাচনে প্রধান বিষয় অর্থনীতি।
এদিকে নভেম্বরের নির্বাচন ঘিরে রেকর্ডসংখ্যাক তরুণ ভোটার অনলাইনে নিবন্ধন করেছে বলে জানিয়েছে এর সংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট অ্যাডাম ওয়াইজ বলছেন, অধিকাংশ ভোটারের কাছে এবারের নির্বাচনে প্রধান বিষয় অর্থনীতি। তার মতে নাগরিক জীবনের স্বস্তি ফিরে আসুক এমটাই চাইছেন বাসিন্দারা।
রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিদেশ থেকে বিশেষ করে চায়না থেকে আমদানি পণ্যে কর বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের বড় বড় কোম্পানিতে কর কমাতে চান। এমনকি ক্ষমতা গ্রহণের ১২ মাসের মধ্যেই কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুততার সাথে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
অন্যদিকে ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগে ভর্তুকি দেয়ার পক্ষে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট সম্প্রসারণ ছাড়াও নবজাতক এবং নতুন পরিবারের আবাসনে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দারা বলছেন, শুধু একগাদা প্রতিশ্রুতি নয় সংকট থেকে উত্তরণে প্রার্থীদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার পাশাপাশি নিজেদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বলিষ্ট পদক্ষেপ চান তারা।
অথচও দুই প্রার্থীই যেসব আশ্বাস দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন পড়বে। অর্থাৎ চাইলেই নির্বাচিত হলেই নিজ নিজ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না ট্রাম্প কিংবা হ্যারিস।
এদিকে অক্টোবরের ৭ তারিখে অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন শেষ হচ্ছে বেশ কয়েকটি স্টেইটে।
ভোট ডট অরগের সিইও আন্দ্রেয়া হেইলি জানিয়েছেন, নভেম্বরের নির্বাচন ঘিরে সাতটি সুইং স্টেইটসহ সারা দেশে রেকর্ডসংখ্যাক তরুণ ভোটার অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন।
রক দ্য ভোট প্রেসিডেন্ট ক্যারোলিন ডিউইট তরুণ ভোটার নিবন্ধন প্রসঙ্গে বলছেন, জেন-জিরা দেশের ভবিষ্যত নিয়ে বেশ উদগ্রীব। সেই সঙ্গে কোন প্রার্থী তাদের আকাঙ্খা পূরণে অপেক্ষাকৃত সক্ষম এবং আগ্রহী তাকে বেছে নিতে তারা যথেষ্ট সচেতন।