জয় বাংলাদেশ: পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আছেন দলটির চেয়ারম্যান গহর আলী খান। মঙ্গলবার পিটিআইয়ের গণমাধ্যম সেলের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই বলছে, গতকাল সোমবার রাতে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে দলীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে। গত রোববার ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পিটিআই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশের শেষের দিকে পুলিশের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পরদিন গতকাল রাতে পিটিআইয়ের কর্মীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চালাল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কারাগারে রয়েছেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। তাঁর ‘অবিলম্বে কারামুক্তির’ দাবিতে দলের পক্ষ থেকে গত রোববার বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ইমরান খানকে মুক্তি দিতে সরকারকে দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয় বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।
গতকাল সোমবার রাত ১১টা নাগাদ পিটিআই নেতা গহর আলী খান, শের আফজাল মারওয়াত, ওয়াজিরিস্তানের আইনপ্রণেতা জুবাইর খান ও আইনজীবী শোয়াইব শাহীনকে গ্রেপ্তারের খবর জানা যায়।
পিটিআইয়ের গণমাধ্যম সেলের বিবৃতিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ১২ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গহর আলী খান ছাড়াও আছেন আমির দোগার। মিত্র দল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের প্রধান সাহেবজাদা হামিদ রাজাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গহর আলী খান ও আফজাল মারওয়াতকে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে থেকে আলাদা পৃথকভাবে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়। গতকাল জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শেষে বাইরে বের হওয়ার পর পুলিশ তাঁদের গাড়িতে করে নিয়ে যায়।
পৃথক অভিযানে শাহীনকে তাঁর কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গ্রেপ্তার ঠেকাতে তাঁর কার্যালয়ের কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তাঁদেরও নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়।
পিটিআই নেতা জেইন কুরেশি, জারতাজ গুল, ওমর আইয়ুব, শেখ ওয়াকাস আকরাম, সিমাবিয়া তাহিরকেও গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তাঁদের কেউ কেউ পার্লামেন্ট ভবনে আশ্রয় নেন।