গত সপ্তাহে পাপুয়া নিউ গিনিতে ব্যাপক ভূমিধসে দুই হাজারের বেশি মানুষ মাটিচাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র এই তথ্য জানিয়েছেন। আজ সোমবার জাতিসংঘের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাপুয়া নিউগিনি সরকার।
উদ্ধারকারীরা দুর্গম অঞ্চলে জীবত মানুষের খোঁজে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার উত্তর পাপুয়া নিউ গিনির পার্বত্য এনগা প্রদেশের পোরগেরা-পাইলা জেলার প্রত্যন্ত মুলিতাকার ছয়টি গ্রামে ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জ্যাকব সোয়াই জানান, গ্রামগুলোতে প্রায় ৪ হাজার মানুষ বসবাস করে। ক্ষতিগ্রস্ত মুলিতাকার গ্রামগুলোতে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ভূমি ধসের ঘটনা ঘটার পরপরই জাতিসংঘ বলেছিল, অন্তত ১০০ জন নিহত হতে পারে। দেশটির ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) অনুসারে, এই সংখ্যা সংশোধন করে ৬৭০ জন করা হয়। কিন্তু পাপুয়া নিউ গিনির দুর্যোগ সংস্থার সর্বশেষ অনুমান অনুসারে এই সংখ্যাটি দুই হাজারের বেশি।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লুসেতে লাসো মানা জাতিসংঘের কাছে এক চিঠিতে বলেছেন, ‘ভূমিধসে দুই হাজারের বেশি মানুষের জীবিত কবর হয়েছে এবং বাড়ি-ঘর, ক্ষেতের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘পরিস্থিতি অস্থিতিশীল রয়েছে, কারণ সেখানে ভূমি এখনো পিচ্ছিল। যা উদ্ধারকারী দল এবং বেঁচে থাকা মানুষ উভয়ের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’
স্থানীয় ওই স্কুলশিক্ষক জ্যাকব সোয়াই এএফপিকে বলেন, ‘মানুষ খুবই দুঃখভারাক্রান্ত হয়ে আছে। কেউই বাঁচতে পারেনি।
চাপা পড়া ও বাস্তুচ্যুতদের তথ্য সংগ্রহ করা খুবই কঠিন। আমরা জানি না কে মারা গেছে, কে বেঁচে আছে। কারণ তথ্য সংগ্রহের সব উপায়ই মাটির নিচে চাপা পড়ে গেছে।’
ভূমিধসের কারণে এলাকার প্রধান মহাসড়কটি সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান। কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিকূল ভূখণ্ড, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা এবং কাছাকাছি উপজাতীয় সহিংসতার প্রাদুর্ভাব দুর্যোগ অঞ্চলে সাহায্য পাওয়ার প্রচেষ্টাকে গুরুতরভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে।
খবর: এএফপি