কোনো প্রমাণ না রাখতেই ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের শরীরের মাংস ও হাড় আলাদা করে গুম করে ফেলা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। তিনি জানান, আনারকে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আসামি আমানুল্লাহ, তানভীর, সিলাস্তিসহ অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা নৃশংসভাবে হত্যা করেন।
শুক্রবার (২৪ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এ সময় আদালত তাদের ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানিতে এসব তথ্য জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ সাঈদ (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও সিলাস্তি রহমান (২২)।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পলাতক আসামি শাহিন গ্রেফতার আসামিদের সঙ্গে নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল ভারতের কলকাতায় নিউ টাউন এলাকায় যান। সেখানে একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন এবং অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে থাকা অবস্থায় আনারের সঙ্গে ব্যবসায়িক মিটিং করার কথা বলে তাকে কলকাতায় যেতে বলেন শাহিন।
শাহিন গত ১০ মে বাংলাদেশে চলে আসেন, সেটা আনার জানতেন না। আসার সময় শাহিন আসামি আমানুল্লাহকে দায়িত্ব দিয়ে আসেন যেন কোনোভাবেই পরিকল্পনা ভুল না হয় এবং হত্যাকাণ্ডের কোনও প্রমাণ না থাকে।
১২ মে আজিম ভারতের কলকাতায় যান এবং তার এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন। পরদিন ১৩ মে সকালের দিকে আনার ব্যবসায়িক মিটিং করার জন্য কলকাতার নিউ টাউন এলাকার ভাড়া বাসায় যান। সেখানে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক আসামি আমানুল্লাহ ও তানভীর সিলাস্তিসহ অজ্ঞাতনামা অন্য পলাতক আসামিদের সহযোগিতায় আনারকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।
শুনানির পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত আসামিদের আট দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।