বাণিজ্যমন্ত্রীর চারপাশে যারা থাকেন তাদের মুখে লিপস্টিক দেখা যায়। মন্ত্রী ওই সব লিপস্টিক ওয়ালাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রংপুরের চারটি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় অংশ নেন। এদিন রাতে পীরগাছা উপজেলার কদমতলি চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক মাঠে জাপা প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গলের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় জিএম কাদের বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, টিপু মুনশি এ আসনের এমপি হলেও ১৫ বছরেও কোনো উন্নয়ন করেননি। নির্বাচনী এলাকার মানুষকে তিনি তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন- তার এলাকার মেয়েরা নাকি দিনে তিন বার মুখে লিপস্টিক বদলায়। কিন্তু আজ জনসভায় এসে দেখলাম কোনো নারীর মুখে লিপস্টিক নেই। বাণিজ্যমন্ত্রীর চারপাশে যারা থাকেন তাদের মুখে লিপিস্টিক দেখা যায়। মন্ত্রী ওই সব লিপস্টিক ওয়ালাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশে এখনো চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। সংসদ নির্বাচনের পর অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে যদি ভোট সুষ্ঠু না হয়। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও অস্থিরতা কমলেও থাকবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন,দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন।ভারত থেকে আমদানি করার পরও দাম কমাতে পারেননি। একেক সময় একেক কথা বলে সরকারকে বিব্রত করেছেন।
এছাড়াও রংপুর-৫ আসনের জাপা প্রার্থী আনিসুর রহমানের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় জি এম কাদের বলেন, নৌকাকে হটিয়ে লাঙ্গলে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ এর আগে সবসময় নির্বাচনে কারচুপি করেছে। তারা রংপুর সদর আসন ছাড়া সব আসনেই মুখোশধারী প্রার্থী দিয়ে জাতীয় পার্টির দুর্নাম দেওয়ার জন্য আসন ছাড়ার মিথ্যা প্রচারণা করছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কোনো জোট বা মহাজোট হয়নি। তারা জাতীয় পার্টিকে কোনও আসনে ছাড় দেয়নি। যে ২৬টি আসনের কথা তারা বলছে সেটা পুরোপুরি মিথ্যা আর ভাঁওতাবাজি। কারণ রংপুর সদর-৩ আসন ছাড়া সব আসনে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে। তাদের বিদ্রোহী প্রার্থী বলে দল থেকে বের করেও দেয়নি। আমরা বেশ কয়েকটি আসনে আমাদের দলের প্রার্থীদের বহিষ্কার করেছি। ফলে কোনো সমঝোতা হয়নি।